চিয়া সিড এর উপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম, অপকারিতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, দাম

চিয়া সিড বা বীজের কথা সবাই হয়তো শুনে থাকবেন। বিশেষ করে যাদের শরীর একটু হালকা-পাতলা গড়নের হয়ে থাকে তাদেরকে মুরুব্বিরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিয়া সিড খাওয়ার জন্য। তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা চিয়া সিড বা চিয়া বীজ সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত নয়। 
চিয়া সিড এর উপকারিতা | চিয়া সিড এর অপকারিতা | চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
এছাড়া হয়তো অনেকে চিয়া সিড কি, চিয়া সিড এর উপকারিতা, চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম, ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম এবং চিয়া সিড এর দাম ইত্যাদি সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত নন।

তাই আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ জুড়ে লেখা হবে চিয়া সিড কি, চিয়া সিড এর উপকারিতা, চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম, ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম এবং চিয়া সিড এর দাম ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত। চলুন জেনে নেই প্রথমে চিয়া সিড কি?

চিয়া সিড কি | চিয়া বীজ কি?

সালভিয়া হিস্পানিকা নামক মিনট প্রজাতির উদ্ভিদের বীজকে সাধারণত আমরা চিয়া সিড বলে থাকি। এক কথায় বলতে গেলে, চিয়া সিড হলো মরুভূমিতে জন্মানো এক ধরনের ফুলের বীজ। আমেরিকায় এবং সেখানকার প্রাচীন আদিবাসীরা এই বীজ তাদের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে থাকে। 

এসব আদিবাসীদের মধ্যে এমন বিশ্বাস রয়েছে যে এ ধরনের বীজ খেলে তাদের শক্তি ও সাহস সঞ্চার হবে। এ ধরনের বীজ চাষাবাদ করার জন্য নির্দিষ্ট কোন আবহার প্রয়োজন হয় না। তাই সকল ধরনের আবহাওয়ায় চিয়া বীজ জন্মাতে সক্ষম। 

এই বীজ দেখতে অনেকটা তিলের মত। সাদা ও কালো রংয়ের ছোট সাইজের হয়ে থাকে এই বীজ। তবে চিয়া সিড বা চিয়া বীজ নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। অনেকে তোকমাকে এ ধরনের বীজ মনে করে ভুল করে থাকে। 

চিয়া সিড বা চিয়া বীজ পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি খাদ্য। চিয়া সিড বা চিয়া বীজ আসলে কি আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এবার আমরা জানবো, চিয়া সিড এর উপকারিতা সম্পর্কে একদম বিস্তারিত।

চিয়া সিড এর উপকারিতা

সুপার ফুড নামে অভিহিত এই চিয়া সিড বা চিয়া বীজের নানারকম উপকারিতা বিদ্যমান রয়েছে। এই বীজে এত পরিমাণ উপকারিতা রয়েছে যে অন্যান্য কোন উদ্ভিদ বীজে এত পরিমাণ উপকারিতা পাওয়া যায় না। তো চলুন জেনে নেই, চিয়া সিড এর উপকারিতা।

  • চিয়া সিড শরীরের কর্মক্ষমতা ও শারীরিক শক্তি বহুগুনে বৃদ্ধি করে থাকে। তবে অবশ্যই আপনাকে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম জেনে এটি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। চিয়া সিড এর উপকারিতাগুলোর এটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি উপকারিতা যেটি না জানলেই নয়।
  • চিয়া সিড দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুনে বৃদ্ধি করে থাকে। তবে অবশ্যই আপনাকে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম জেনে এটি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
  • চিয়া সিড দেহের ওজন কমাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যারা ওজন বেশি হওয়ার কারণে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তা আজ থেকে এই বীজ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারে।
  • চিয়া সিড ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। রক্তের চিনি নিয়ন্ত্রণে এই বীজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যাদের ডায়াবেটিস সমস্যা রয়েছে তারা এই বীজ খেয়ে এই সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রান পেতে পারেন।
  • চিয়া সিড খুব বেশি ক্যালসিয়াম সম্পন্ন হয় এটি আপনার হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা পালন করবে। দুধের থেকে অনেক বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে চিয়া সিডে। চিয়া সিড এর উপকারিতাগুলোর এটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি উপকারিতা।
  • চিয়া সিড মলাশয় পরিষ্কার করার মাধ্যমে ক্যান্সার হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকি থেকে আমাদের রক্ষা করে থাকে। অর্থাৎ চিয়া সিড খেলে আপনার ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। তবে অবশ্যই আপনাকে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম জেনে এটি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
  • যাদের পাকস্থলীতে সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য চিয়া সিড খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে তাদের হজম সমস্যা সমাধানে। তাই যাদের খিদে লাগে না বা হজম সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য খুব উপকারী হবে। হজম সমস্যার চির সমাধান হতে পারে এটি। হজম শক্তি বাড়াতে এই বীজের ভূমিকা অপরিসীম।
  • চিয়া সিড মানব শরীরের যেকোনো ধরনের ব্যথা নিরাময় করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। যারা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি হতে পারে অনেক উপকারী। তবে অবশ্যই আপনাকে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম জেনে এটি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
  • চিয়া সিড শুধু আপনাকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থেকে রক্ষা করবে না পাশাপাশি আপনাকে ক্যান্সার থেকে প্রতিরোধ করবে। ক্যান্সারের রোগীদের জন্য এই বীজ অনেক উপকারী হবে। ইতিমধ্যে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত আছেন তারা এই মরণব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত এই বীজ খাওয়ার অভ্যাস করুন। ক্যান্সার প্রতিরোধে চিয়া সিডের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
  • চিয়া সিড আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত বা দূষিত বিভিন্ন উপাদান বের করে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাই আপনার শরীরের রক্তকে বিশুদ্ধ রাখতে আপনি চাইলে এই বীজ খেতে পারেন।
  • চিয়া সিড শরীরের শারীরিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমনঃ ত্বক, চুল ও নখকে আরো বেশি সুন্দর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এই উপকারী বীজ।
  • চিয়া সিড অনেক সময় আমাদের গৃহপালিত পশু পাখিদের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করতে দেখা যায়। তবে এই বীজের দাম অনেক বেশি হওয়ায় আমাদের দেশে এটা করতে তেমন বেশি দেখা যায় না। কারণ এটি আমাদের দেশে সহজে পাওয়া যায় না।তবে অবশ্যই আপনাকে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম জেনে এটি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
  • চিয়া সিড অনেক বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় যাদের প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে তারা এই বীজ সেবন করে প্রোটিনের অভাব দূর করতে পারেন বা পূরণ করতে পারেন।
  • চিয়া সিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। যারা রক্তচাপ নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন তাদের জন্য এই বীজ অনেক উপকারী হতে পারে। তবে অবশ্যই আপনাকে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম জেনে এটি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
  • চিয়া সিডে রয়েছে ওমেগা-৩ নামে গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাটি এসিড। এটি আমাদের শরীরের হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আর এই বীজ খেলে আমাদের হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। চিয়া সিড এর উপকারিতাগুলোর এটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি।
  • চিয়া সিড নিয়মিত পানিতে ভিজিয়ে খেলে এটি আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। এটিও অন্যতম একটি উল্লেখযোগ্য উপকারিতা চিয়া সিড এর উপকারিতার মধ্যে।
  • চিয়া সিডে রয়েছে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশী ক্যালসিয়াম যেটা আপনার ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দ্রুত পূরণ করবে।
  • চিয়া সিডে রয়েছে কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি যেটি আপনার ভিটামিন সি জনিত অভাব পূরণ করতে সাহায্য করবে।
  • চিয়া সিডে রয়েছে পালং শাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশী আয়রন (লোহা) যেটি আপনার আয়রনের ঘাটতি পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
  • চিয়া সিডে রয়েছে কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম যেটি আপনার পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য যথেষ্ট।
  • চিয়া সিডে রয়েছে স্যামন মাছের থেকে ৮ গুণ বেশী ওমেগা-৩ যেটি কল্পনারও বাইরে।
  • চিয়া সিড খেলে আমাদের যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তারা এই ঘুম সমস্যা থেকে আজীবনের জন্য মুক্তি পাবেন। তাই যাদের ঘুম হয় না তারা আজ থেকে এই বীজ খেতে পারেন।
  • চিয়া সিড অনেক বেশি পুষ্টিকর হওয়ায় এটি আপনার সুষম খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। 

আশা করি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন চিয়া সিড এর উপকারিতা সম্পর্কে। উপরে আমরা আলোচনা করেছি, চিয়া সিড এর ২১টি উপকারিতা। এবার আমরা জানবো, চিয়া সিড এর অপকারিতা সম্পর্কে একদম বিস্তারিত।

চিয়া সিড এর অপকারিতা | চিয়া সিড এর ক্ষতিকর দিক | চিয়া সিড এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

চিয়া সিডেয় যেমন অসাধারণ অসাধারণ কিছু উপকারিতা রয়েছে তেমনি রয়েছে সাধারণ কিছু ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা। উপরে আমরা বিশদভাবে জেনেছি চিয়া সিড এর উপকারিতা। 

এবার আমার আলোচনা করব, চিয়া সিড এর অপকারিতা সম্পর্কে একদম বিস্তারিত। শুধু চিয়া সিড এর উপকারিতা উপকারিতা জেনে এই বীজ খেতে শুরু করা ঠিক হবে না। 

তাই আপনাকে জেনে নিতে হবে চিয়া সিড এর ক্ষতিকর দিক। নতুবা আপনি পরবর্তীতে যে কোন ধরনের নতুন সমস্যায় পড়তে পারেন। তো চলুন দেরি না করে জেনে নেই চিয়া সিড এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

  • চিয়া সিড বা চিয়া বীজ সরাসরি খেলে গলায় আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই বীজ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই পানিতে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখা আবশ্যক। এটা চিয়া সিড বা চিয়া বীজ এর তেমন কোন মারাত্মক অপকারিতা নয়।
  • যদিও আমরা বলেছি, চিয়া সিড বা চিয়া বীজ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে, কিন্তু অনেক গবেষকের মতে এটা খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এক কথায় ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
  • এই বীজ খাওয়ার ফলে অনেকের মধ্যে এলার্জি সমস্যা দেখা দেয়। এসএমএস বিভিন্ন ধরনের ব্যথার উপক্রম হতে পারে। চিয়া সিড বা চিয়া বীজের অন্যতম একটি অপকারিতা এটি।
  • আমরা উপরে জেনেছি যে এই চিয়া সিড বা চিয়া বীজ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়। তবে অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে শরীরের রক্তের শর্করার মাত্রা একেবারে কমে যেতে পারে যেটা ডায়াবেটিসের চেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে আপনার জন্য।
  • চিয়া সিড এর ক্ষতিকর দিকগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো অতিরিক্ত পরিমাণে ওজন কমে যাওয়া। অতিরিক্ত পরিমাণে ওজন কমে যাওয়ার ফলে আপনার শরীরে নতুন করে নানা রকম সমস্যা দেখা যেতে পারে। তাই অতি সতর্কতার সহিত এটি খাওয়া উচিত। সুতরাং চিয়া সিড বা চিয়া বীজ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে।
  • চিয়া সিড বা চিয়া বীজ খেলে পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 
  • চিয়া সিড বা চিয়া বীজ খেলে যেমন ওজন কমে যায় তেমনি অতিরিক্ত প্রোটিন থাকার কারণে অনেক সময় ওজন বৃদ্ধি পায়। তাই সতর্কতার সহিত নিয়ম মেনে খেতে হবে। 

আশা করি বুঝতে পেরেছেন, চিয়া সিড এর অপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক। এবার আমরা জানবো, চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম নিয়ম সম্পর্কে একদম বিস্তারিত।

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম | চিয়া সিড এর খাওয়ার নিয়ম

চিয়া সিড খাওয়ার অনেক নিয়ম আছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নিয়ম আজকে আমি তুলে ধরব। এই বীজ খুব পুষ্টি সমৃদ্ধ ও উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাদ্য। নিয়ম মেনে না খেলে হিতে বিপরীত হওয়া সম্ভব না থেকে যায়। তো চলুন জেনে নেই, চিয়া সিড এর খাওয়ার নিয়ম:

চিয়া সিড খাওয়ার পদ্ধতি: ১

চিয়া সিড খাওয়ার অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটা উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি হলো স্মুথি তৈরি করে খাওয়া। এই পদ্ধতিতে মূলত চিয়া সিড ব্লেন্ডার মেশিন দিয়ে টক দই ও সাথে শসা মিশিয়ে তৈরি করা হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় অনেকে, বাদাম, খেজুর এবং কলার সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে স্মুথি তৈরি করে খেয়ে থাকে। চিয়া সিড খাওয়ার নিয়মের মধ্যে অন্যতম নিয়ম হলো এটি।

চিয়া সিড খাওয়ার পদ্ধতি: ২

আপনি চাইলে সালাদে এটি ছিটিয়ে ব্যবহার করে খেতে পারেন। চিয়া সিড খাওয়ার নিয়মগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় একটি নিয়ম। তাছাড়া আপনি চাইলে এটি যে কোন খাবারে ছিটিয়ে খেতে পারেন। এ নিয়মে খুব সহজে চিয়া সিড খেতে পারবেন।

চিয়া সিড খাওয়ার পদ্ধতি: ৩

চিয়া সিড আপনি চাইলে যেকোনো ধরনের জুসের সাথে একটি মিশিয়ে জুসের আরেকটু পুষ্টি মাত্রা বাড়াতে পারেন। তাছাড়া আপনি চাইলে এটাকে আলাদাভাবে ড্রিংকস তৈরি করে খেতে পারবেন। এক চামচ পরিমাণ চিয়া সিড এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে খালি পেটে খেলে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া আপনি চাইলে চায়ের সাথে মিশিয়ে এটি খেতে পারেন। এছাড়া বাসাবাড়ির যে কোন রান্না করা খাবারের সাথে মিশিয়ে এই বীজ খাওয়া যায়। আশা করি খুব ভালো করে জানতে পেরেছেন চিয়া সিড এর খাওয়ার নিয়ম। এবার আমরা জানবো, ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে একদম বিস্তারিত। এই বীজ নিয়ম মেনে না খেলে আপনার কখনো ওজন বাড়বে না। তাই আপনার জানা আবশ্যক হবে ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

উপরে আমরা আলোচনা করেছি চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম নিয়ম সম্পর্কে। তবে ওজন কমাতে এই বীজ খাওয়ার জন্য অন্য নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। ওজন অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অনেক সময় নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। 

ওজন অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায় যেমন সমস্যা তেমনি কমে যাওয়া একটা সমস্যা। ওজন কমাতে চিয়া সিড কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এটি দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। তাই এটি হতে পারে একটি আদর্শ খাবার ওজন কমানোর জন্য। 

একটি খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে মনে হয় তাই সহজে খিদে পায় না যার ফলে দ্রুত ওজন কমে যায়। আর যাদের ওজন অতিরিক্ত বেশি তাদের জন্য আজকে আজ ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত বলব।

ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়মঃ খুব দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন সকালে ও রাতে খালি পেটে দুই চা চামচ চিয়া সিড ও দুই চা চামচ লেবুর রস একটা গ্লাসে এক গ্লাস পরিমাণ পানি নিয়ে তাতে মিশিয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে তারপর খেতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়মটি। এবার আমরা জানবো, চিয়া সিড এর বাংলা নাম।

চিয়া সিড এর বাংলা নাম

চিয়া সিড (Chia Seeds) হলো ইংরেজি নাম। চিয়া সিড এর বাংলা নাম হলো চিয়া বীজ। এখন আমরা জানবো, চিয়া সিড খাওয়ার সময়।

চিয়া সিড খাওয়ার সময় 

চিয়া সিড খাওয়ার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। এটি আপনি চাইলে স্মুথি তৈরি করে, সালাদ হিসেবে, জুসের সাথে কিংবা পান করে ড্রিংকস হিসেবে যেকোনো সময় খেতে পারেন। তবে যারা ওজন কমাতে চান তারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটেও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে খেতে পারেন। এখন আমরা জানবো, চিয়া সিড কোথায় পাওয়া যায়?

চিয়া সিড কোথায় পাওয়া যায়?

চিয়া সিড সাধারণত মরুভূমিতে জন্মে। তবে আপনি চাইলে বাংলাদেশের অনলাইন বিভিন্ন শপিং সাইট (ডারাজ) থেকে খুব সহজে কিনে নিতে পারবেন। এছাড়া যেসব দোকানে ঔষধি বীজ পাওয়া যায় সেসব দোকানে পাওয়া যেতে পারে। এবার আমরা জানবো, চিয়া সিড এর দাম কত?

চিয়া সিড এর দাম কত?

চিয়া সিড এর দাম স্থানভেদে বাংলাদেশ একেক রকম হতে পারে। তবে ১ কেজি চিয়া সিড এর দাম ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা মাত্র।

চিয়া সীড কত টাকা কেজি?

চিয়া সিড সাধারণত বাংলাদেশে ১ কেজি ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা মাত্র। অর্থাৎ ১ কেজি চিয়া সিড ১০০০-২০০০ টাকা মাত্র।

চিয়া সিড কিডনির জন্য কতটা ভাল?

চিয়া সিডে সাধারণত অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকে। আর অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির জন্য চাপ হতে পারে। তাই বলা যায় কিডনির জন্য চিয়া সিড খুব বেশি ভালো নয়। কিডনি রোগীদের জন্য এড়িয়ে যাওয়া উচিত।

চিয়া সিড কোথায়?

চিয়া সিড সাধারণত মরুভূমিতে জন্মে।

চিয়া সিড আর তোকমা কি একই?

না। চিয়া সিড আর তোকমা কি একই নয়। দুইটি জিনিস একেবারে ভিন্ন।

গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়া যাবে কি?

হ্যাঁ, গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়া যাবে। কারণ সিয়া সিটে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। তবে অবশ্যই পরিমিত খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কেননা অতিরিক্ত কোন জিনিসই ভালো নয়।

চিয়া সিড কত দিন খেলে ওজন কমে?

চিয়া সিড সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিন দিন খেলে ওজন কমে। তবে একমাস খেলে গ্যারান্টি সহকারে ৫ থেকে ১০ কেজি ওজন কমবে। তবে সতর্কতার সহিত খেতে হবে। 

চিয়া সিড এর ইংরেজি নাম কি?

চিয়া সিড (Chia Seeds) হলো ইংরেজি নাম। চিয়া সিড এর বাংলা নাম হলো চিয়া বীজ। সুতরাং বলা যায়, চিয়া সিড এর ইংরেজি নাম হলো Chia Seeds।

আমাদের কথা

আশা করি আজকের আর্টিকেল চিয়া সিড কি, চিয়া সিড এর উপকারিতা, চিয়া সিড এর অপকারিতা এবং চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম | চিয়া সিড এর খাওয়ার নিয়ম আপনার ভালো লেগেছে। আমরা উপরে আলোচনা করেছি চিয়া সিড নিয়ে বিস্তারিত। আমরা সকল প্রশ্নের উত্তর গবেষণা করে যথাযথভাবে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের জন্য খুব উপকারী হবে। এরকম আরো উপকারী টিপস সমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
Next Post Previous Post