পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় [২০টি কার্যকরী উপায়]

একজন শিক্ষার্থী যে নিয়মিত পড়াশোনা করে, তার পাঠ ভালোভাবে শেখে এবং একটি ভালো প্রস্তুতি নেয় নিঃসন্দেহে সে পরীক্ষায় ভালো করবে। কিন্তু যারা কঠোর পরিশ্রম করে না, তারা পরীক্ষায় ভালো করতে পারে না। আমি মনে হয় তারা জানে না, পরীক্ষায় কিভাবে ভালো করতে হয়।
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার ২০টি কার্যকরী উপায়
একজন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হলে অবশ্যই বছরের শুরু থেকে নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে। শুরু থেকে নিয়মিত পড়াশুনা করলে একজন শিক্ষার্থী পরিপূর্ণভাবে তার পাঠ শিখতে পারবে। অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা পড়াশোনাকে অবহেলা করে কিন্তু পরীক্ষার সামনে এসে পাগল হয়ে যায়। 

একটা বিষয়ে যদি পরিষ্কার ধারণা না থাকে তাহলে সে বিষয়ের সকল প্রশ্ন উত্তর করা সম্ভব হয় না। এছাড়া এমন অনেক ছাত্র রয়েছে যারা নিয়মিত পড়াশোনা করেও পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে পারে। 

পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়

১. একটি বাস্তবায়নযোগ্য রুটিন তৈরি করা

পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে চাইলে অবশ্যই প্রথমে মাথা থেকে পরীক্ষা ভীতি দূর করতে হবে। ইতিবাচক চিন্তাভাবনা মাথায় রেখে পড়াশোনা করার জন্য একটা সুন্দর বাস্তবায়নযোগ্য এবং সম্ভবপর রুটিন তৈরি করে নিতে হবে। 

কোন দিন কখন কি পড়বেন সেটা আগে থেকেই রুটিনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এছাড়া একটা দিনের সকল কার্যক্রম রুটিনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে। ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে, খাওয়া-দাওয়া প্রভৃতি।

২. পড়ার পর না লেখার অভ্যাস করা


আমরা যা পড়ি তা সম্পূর্ণরূপে সবকিছু মনে রাখা সম্ভব নয়। যার কারণে পরীক্ষার খাতায় হুবহু লিখে আসতে পারি না। আর পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে চাইলে অবশ্যই পরীক্ষার খাতায় নির্ভুল ভালো লেখা দিতে হবে। 

নতুবা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে পড়ার পাশাপাশি সেই পড়া না দেখে লেখার অভ্যাস করতে হবে যেটা পরীক্ষায় ভালো নম্বর তুলতে সাহায্য করবে। অনেক সময় না লেখার অভ্যাসের কারণে আমরা পরীক্ষার খাতায় ভালোভাবে লিখতেও পারি না। 

না দেখে লেখার চেষ্টা করলে আপনার লেখার সময় যেসব ভুল হয়ে থাকে তার সহজেই ধরতে পারবেন এবং সেগুলো সমাধান করতে পারেন।

৩. ভুল থেকে শেখা


মানুষ সাধারণত ভুল থেকে যেসব শিক্ষা নেয় সেগুলো দীর্ঘদিন মনে রাখতে পারে। তাই আপনি কি কি ভুল করছেন এবং কেন ভুল করেছেন সেগুলো ভালোভাবে জানার চেষ্টা করবেন এবং সমাধান করবেন। 

তাহলে এসব ভুল আপনার সারা জীবন মনে থাকবে। তাহলে আপনি ভালো নম্বর তুলতে পারবেন পরীক্ষায়। 

৪. গ্রুপ স্টাডি করা 


পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার মূলমন্ত্র হতে পারে গ্রুপ স্টাডি করা। গ্রুপ স্টাডি করে পড়াশুনা করলে পড়াশোনা অনেক বেশি কার্যকরী হয়। যেকোনো বিষয়ে একটা পরিষ্কার ধারণা নেওয়া যায়। এছাড়া গ্রুপ স্টাডি করে পড়াশোনা করলে পড়াশুনা দীর্ঘদিন মনে থাকে। 

বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যা একে অপরকে সাহায্য করার মাধ্যমে খুব সহজেই সমাধান করা যায়। এভাবে পড়াশোনা করলে যেমন কার্যকরী হয় তেমনি অনেক ফলপ্রসু হয়ে থাকে।

তবে গ্রুপ স্টাডি করার সময় সতর্ক থাকতে হবে আড্ডায় যেন সময় নষ্ট না হয়। গ্রুপে অতিরিক্ত মানুষ রাখা যাবে না। সর্বোচ্চ ৫ জন হলে ভালো হয়। তবে তিন-চার জন নিয়ে গ্রুপ তৈরি করা উত্তম।

৫. নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা


পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার উপায়গুলোর মধ্যে সেরা একটি উপায় হলো প্রতিটা ক্লাসে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করা। ক্লাসে উপস্থিত থাকার কারণে আপনি প্রতিটি বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা নিতে পারবে। 

কখনো কখনো ক্লাসে উপস্থিত থাকার কারণে নম্বর দেয়া হয়ে থাকে। সেটা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এমন অনেক স্কুল বা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেখানে একটা নির্দিষ্ট শতকরা হারে উপস্থিত না থাকলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয় না। 

তাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেও নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা উচিত।

৬. নোট তৈরি করা


পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার মন্ত্র হলো নোট তৈরি করা। প্রতিটা ক্লাসে যেমন আপনার নিয়মিত উপস্থিত থাকা দরকার তেমনি প্রতিটা ক্লাসে উপস্থিত থেকে নোট তৈরি করা আপনার জন্য আবশ্যক। 

শিক্ষকেরা অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ টপিক পড়িয়ে থাকেন। যা পরীক্ষায় আসার মত। কখনো কখনোই তো শিক্ষকেরা সরাসরি পরীক্ষায় আসবে এমন প্রশ্ন বলে দেয়। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকরা যা পড়িয়ে থাকেন সেগুলোর মধ্যে থেকে পরীক্ষায় দেওয়ার চেষ্টা করেন। 

আর এগুলো পেতে হলে আপনাকে নোট তৈরি করতে হবে। নোট তৈরি করলে পড়াশুনার প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায় এবং মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে অনেক সহজ হয়।

৭. নেমোনিক টেকনিক ব্যবহার করা


অনেক বিষয় থাকে যেগুলো মুখস্ত করতে হয়। আর এসব মুখস্ত করার বিষয়গুলো মনে রাখা অনেক কষ্টকর হয়ে থাকে। মুখস্তনির্ভর বিষয়গুলো সাধারণত বেশীদিন মনে থাকে না। এসব মুখস্থ নির্ভর টপিকগুলো মনে রাখতে বিভিন্ন ধরনের টেকনিক ব্যবহার করা যেতে পারে। 

যেমন বিভিন্ন ধরনের ছন্দ তৈরি করা কিংবা ছড়া তৈরি করে খুবই সাহিত্যিকের কাব্যগ্রন্থ ও প্রবন্ধগুলো মনে রাখা যেতে পারে। এছাড়া প্রতিটা শব্দের প্রথম অক্ষর দিয়ে একটা নতুন বাক্য তৈরি করে পড়া মনে রাখা যেতে পারে। 

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, এশিয়ার দেশগুলোর প্রথম অক্ষর দিয়ে নতুন একটা শব্দ কিংবা বাক্য তৈরি করে নিতে পারেন যেটার সাহায্যে খুব সহজে পড়া মনে করে নিতে পারবেন।

৮. আকর্ষণীয়ভাবে খাতা উপস্থাপন করা


পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার উপায়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী এবং সেরা কৌশল হলো পরীক্ষার খাতা আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা। দৃষ্টিনন্দন আকর্ষণীয় খাতা পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে সাহায্য করে। 

লেখার মান যদি ভালো না হয় তবুও যদি পরীক্ষা সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে অধিক নম্বর পাবেন। তাই সব সময় চেষ্টা করবেন পরীক্ষায় সুন্দর ও গোছানোভাবে খাতায় লেখা উপস্থাপন করার। প্রয়োজনে আপনি বিভিন্ন কালারের কলম ব্যবহার করতে পারেন। 

আপনি যখন পরীক্ষায় "১ নং প্রশ্নের উত্তর" এই লেখাটি লিখবেন তখন আপনি সেটা নীল কিংবা সবুজ কালারে লিখতে পারেন। এরপরে আরো উত্তরগুলো নীল কিংবা সবুজ কালারে লিখতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, (ক), (খ) এভাবে।

৯. টাইম ম্যানেজমেন্ট করা


পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো পরীক্ষার হলে কার্যকর টাইম ম্যানেজমেন্ট করা। পরীক্ষায় ভালো করতে চাইলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবশ্যই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। 

অনেক শিক্ষার্থী ভালো প্রস্তুতি নেওয়ার পরেও পরীক্ষার হলে সময় ব্যবস্থাপনার অভাবে আশানুরূপ ফলাফল করতে পারে না। তাই শুধু পড়লেই হবে না, টাইম ম্যানেজমেন্ট বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

১০. হাতের লেখা সুন্দর করা 


পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার মন্ত্র কি জানতে চান? তাহলে শুনুন বলছি। পরীক্ষায় ভালো করার মন্ত্র হলো পরীক্ষার খাতায় সুন্দর হাতের লেখা। আপনারা হাতের লেখা যদি খুব সুন্দর হয় তাহলে আপনি অধিক নম্বর তুলতে পারবেন। 

হাতের লেখা সুন্দর হলে শিক্ষকরা সেই শিক্ষার্থীর খাতাটি আলাদা দৃষ্টিতে দেখে। সুন্দর হাতের লেখা শিক্ষকের আকর্ষণ করে থাকে। সুন্দরা হাতের লেখা একটি শিক্ষার্থীর প্রতি শিক্ষকদের ইতিবাচক মনোভাব তৈরিতে সক্ষম। 

তাই আপনার উচিত হবে আপনার হাতের লেখা সুন্দর করা এবং পরিষ্কারভাবে গুছিয়ে লেখা।

১১. বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করা

আপনি যে পরীক্ষা দেবেন সেই পরীক্ষার বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সংগ্রহ করতে হবে। 

তারপর প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করতে হবে। বিগত বছরের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করলে আপনার খুব সহজেই প্রশ্নের ধরণ বা প্যাটার্ন সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন। তাহলে প্রস্তুতি নিতে আপনার অনেক সুবিধা হয়। আপনি খুব সহজেই একটি সাজেশন তৈরি করে নিতে পারেন। 

এছাড়া আরো জানতে পারবেন কোন বিষয়ের কোন টপিকগুলো বার বার আসে। আশা করি, বিগত বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করার উপকারিতা বুঝতে পেরেছেন। এটা সকল পরীক্ষায় ভালো করার মূল হাতিয়ার।

১২. না জানলেও সকল প্রশ্নের উত্তর করা


পরীক্ষার হলে প্রশ্ন আপনার কমন না পড়লেও আপনাকে সকল প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। বেশি প্রশ্নের উত্তর করলে স্বাভাবিকভাবে আপনি বেশি নাম্বার পাবেন। আপনি যদি প্রশ্নের উত্তর না জানেন তবুও যেসব প্রশ্নের উত্তর বাধ্যতামূলক দিতে হবে সেগুলো উত্তর করে আসবেন।

এখনকার সময় শিক্ষকেরা খুব ভালো করে পরীক্ষার খাতা দেখেনা। বিশেষ করে পাবলিক পরীক্ষার খাতা তো মনে হয় দেখেই না। আসলে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খাতা দেখা সম্ভবও নয়। তাই সকল প্রশ্নের উত্তর করলে কম নম্বর হলেও কিছু নাম্বার পাবেন। 

অনেক বোকা শিক্ষার্থী রয়েছে যারা প্রশ্নের উত্তর জানে না বলে উত্তর করা বাদ দিয়েই রেখে আসে। পরীক্ষায় অধিক নাম্বার পেতে চাইলে মনের ভুলেও কাজটি করবেন না।

১৩. বেশি বেশি রিভিশন দেয়া


শুধু পড়লেই হবে না, নিয়মিত আপনাকে পড়া রিভিশন দিতে হবে যেগুলো অতীতে পড়েছেন। অনেক নিয়ম রয়েছে রিভিশন দেওয়ার। আপনি রিভিশন সঠিক নিয়ম জেনে পড়া রিভিশন দিবেন।

সাধারণত আমরা পড়া দীর্ঘদিন মনে রাখতে পারি না। আর সমস্যা থেকে উত্তরণের একমাত্র কৌশল হলো বিগত পড়াগুলো নিয়মিত রিভিশন করা। 

পড়া বিভীষণ দেওয়ার নিয়ম হলো প্রথম যে পড়াটি পড়বেন সেটা মুখস্থ করার পর ১৫ মিনিট পর আবার রিভিশন দেওয়া, তারপর ২৪ ঘন্টা পরে আবার রিভিশন দেওয়া, এরপর আপনাকে ৩ দিন পরে আবার রিভিশন দিতে হবে, এরপর আবার ৭ দিন পরে রিভিশন দিতে হবে। 

এরপরে আবার আপনাকে ১৫ দিন পর রিভিশন দিতে হবে এবং সর্বশেষ ১ মাস পর পর আপনাকে নিয়মিত রিভিশন দিতে হবে।

১৪. নিয়মিত মডেল টেস্ট দেওয়া 


এটি আপনার প্রস্তুতি সম্পর্কে ধারণা দেবে। আপনার প্রস্তুতি যদি পরিপূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে মডেল টেস্টের মাধ্যমে যাচাই করে নিতে পারেন। 

মডেল টেস্ট পরীক্ষা দিলে আপনি আপনার দুর্বলতা সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং পরে সেই দুর্বলতা সমাধান করতে পারবেন। এছাড়া সঠিকভাবে টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে চাইলে নিয়মিত মডেল টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা উচিত বলে আমি মনে করি।

১৫. নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে নেওয়া 


নির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকলে পড়াশুনায় দীর্ঘদিন মনোযোগ ধরে রাখা সম্ভব হয় না। একটা নির্দিষ্ট গন্তব্য ঠিক করে নিলে কার্যকরীভাবে পড়াশোনা করা যায়। 

আপনি ভবিষ্যতে নিজেকে কোন জায়গায় দেখতে চান এর বিষয়টা পড়াশোনার সাথে অনেক বেশি সম্পর্কিত। নিজের গন্তব্য ঠিক করতে পারলে খুব সহজে বুঝতে পারবেন পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার কী গুরুত্ব সেটা।

১৬. ক্লাসে অনেক মনোযোগী হওয়া 


পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য শ্রেণিকক্ষে অনেক বেশি মনোযোগী হতে হবে। নোট করার সময় খেয়াল রাখতে হবে শিক্ষক কী পড়াচ্ছেন সেটা বুঝতে পারছেন কিনা! পড়া না বুঝে নোট করলে সেটা বেশি কার্যকরী হবে না বলে আমি মনে করি। 

তাই শিক্ষকের কথা আপনাকে অনেক মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে তাহলে ক্লাসে অনেক পড়া আপনার বোঝা হয়ে যাবে এবং বাড়িতে এসে রিভিশন দিলেই পড়া শেষ হয়ে যাবে।

১৭. অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী না হওয়া 


আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে বিপরীত হতে পারে। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নিজেকে ধ্বংস করে দেয়। মানুষকে অহংকারী করে তোলে। নিয়মিত পড়াশোনা করলে এমনিতে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। তাই আত্মবিশ্বাসী হবেন, কিন্তু ওভার কনফিডেন্স হবেন না।

১৮. পড়ার ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন


কার্যকরীভাবে পড়াশোনা করার আর একটি উপায় হলো করার মাঝে মাঝে হালকা বিরতি নেওয়া। এতে পড়াশুনার প্রতি একঘেঁয়েমি থাকলে তা দূর হয়ে যায়। 

পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। আপনি চাইলে ১ ঘন্টা পড়ার পর দশ মিনিট করে বিরতি নিতে পারেন। এটি আপনার মনকে রিফ্রেশ করবে। দীর্ঘক্ষণ পড়তে সক্ষম করবে।

১৯. সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকুন

যদি সত্যিই পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে চান, তবে আমি আপনাকে পরামর্শ দিবো সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একদম দূরে থাকুন। সম্ভব হলে সব ধরনের একাউন্ট বন্ধ করে দিন। অথবা ডিএক্টিভেটেড করে নিন। 

এই সোশ্যাল মিডিয়া আপনার অতি অতি মূল্যবান সময় চোখের পলকে নষ্ট করে ফেলবে যেটা আপনি বুঝতে পারবেন না। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যে উপকার পায়, তার চেয়ে বহু গুনে বেশি অপকার পেয়ে থাকি আমরা। 

বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে এ ধরনের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটগুলো যেমন ফেসবুক, টুইটার টিকটক ও ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি।

২০. স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া 

শুধু পড়লেই চলবে না, পড়ার পাশাপাশি নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে হবে। কারণ শরীর সুস্থ না থাকলে আপনি যেমন পড়তে পারবেন না তেমনি পরীক্ষার দিন পরীক্ষার হলে ভালো পরীক্ষা দিতে পারবেন না। তাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে চাইলে নিজের শরীরের যত্ন নিতে হবে। 

পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। চাইলে প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। এটা যেমন আপনার শরীর সুস্থ রাখবে তেমনি মন এবং মস্তিষ্ক উভয় সুস্থ রাখবে। প্রতিদিন আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।
Next Post Previous Post