কাশির এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট ঔষধের নাম [নিয়ম ও দাম]
কাশিকে আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কাশির মাধ্যমে শ্বাসনালীতে প্রবেশ করা ধুলাবালি কিংবা ধোঁয়া বা অন্য কোন কিছু থাকলে বের হয়ে যায়। এভাবে কাশি আমাদের শ্বাসনালীকে পরিষ্কার করে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। অতিরিক্ত পরিমাণে হলে সেটা কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে। কাশি দুই প্রকারের রয়েছে। স্বল্পস্থায়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী।
কারণ
স্বল্পস্থায়ী:
- সাইনোসাইটিস
- ব্রঙ্কাইটিস
- নিউমোনিয়া
- হুপিং কাশি
- অ্যালার্জিজনিত নাকের প্রদাহ
- সাধারণ সর্দি
- ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা
- বায়ু দূষণ
স্বল্পস্থায়ী কাশি দুই সপ্তাহের বেশি সময় থাকে না।
দীর্ঘস্থায়ী:
- দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করলে
- হাঁপানি
- হার্ট ফেইলুর
- ফুসফুসের ক্যানসার
- যক্ষ্মা
দীর্ঘস্থায়ী কাশি সাধারণত ৮ সপ্তাহের বেশি সময় থাকে।
কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম
জিম্যাক্স ট্যাবলেট
খাওয়ার নিয়ম: স্কয়ার কোম্পানির এই ঔষধের গ্রুপ নাম হল এজিথ্রোমাইসিন। এই ট্যাবলেট ৩ দিন সেবন করতে হয়। প্রতিদিন আপনি ৫০০ মি.গ্রা. করে করতে পারবেন। অথবা আপনি চাইলে প্রথম দিন ৫০০ মি.গ্রা. সেবন করে পরবর্তী ৪ দিন ২৫০ মি.গ্রা. করে খেতে পারবেন। এই নিয়ম শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য। শিশুদের খাওয়ানোর ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বাচ্চাদের খাওয়ানোর সিরাপ পাওয়া যায়। খাওয়ার পরে ভরা পেটে সেবন করতে হবে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: বমি, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, শরীর ঘামা এবং দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
দাম: প্রতি পিস ট্যাবলেট ৪০ টাকা মাত্র।
Doxicup Capsule
খাওয়ার নিয়ম: রেনেটা কোম্পানির এই ওষুধের গ্রুপ নাম হল ডক্সিসাইক্লিন হাইড্রোক্লোরাইড। প্রথম দিন দুটি ক্যাপসুল সেবন করতে হবে। তারপর প্রতিদিন একটি ক্যাপসুল সেবন করতে হবে। এভাবে ৭ থেকে ১০ দিন সেবন করা লাগে। অবশ্যই খাওয়ার পর ভরা পেটে সেবন করতে হবে। শিশুদের খাওয়ানো যাবে না। গর্ভকালীন ও স্তনদানকালীন খাওয়া যাবে না।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: বমি বমি ভাব, বমি, ত্বকে ফুসকুড়ি এবং ডায়রিয়া হতে পারে।
দাম: প্রতি পিস ক্যাপসুল এর দাম ২.২০ টাকা মাত্র।
বিশেষ সতর্কীকরণ: চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এ ধরনের ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।
কাশি হলে কি কি খাওয়া যাবে না?
- প্রক্রিয়াজাত খাবার
- ভাজা খাবার
- অ্যালকোহল
- ক্যাফেইনযুক্ত পানি
- কলা
- আঙুর
- তরমুজ
- কমলা
অতিরিক্ত কাশি কিসের লক্ষণ?
যদি অতিরিক্ত কাশির সাথে ক্লান্তি লাগে তবে সেটা ফুসফুসের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।