দাউদের এন্টিবায়োটিক [নাম, দাম ও নিয়ম]
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্। আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম Bongotutor.com ভিজিট করার জন্য। আজকের এই আর্টিকেল পড়ে আপনি জানতে পারবেন দাউদের এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে। এছাড়া আমরা আরো জানবো দাউদ আসলে কি, দাউদ কত প্রকার রয়েছে, দাউদ কেন হয়, দাউদ কিভাবে ছড়ায়, দাউদ হলে করণীয় কী ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে।
দাদ আঞ্চলিক ভাষায় দাউদ হিসেবে পরিচিত। এই দাউদ একটি অতি পরিচিত রোগ। এই রোগের নাম শুনে নাই বা দেখেনি এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে। দাউদ হলে খুব খারাপ লেগে থাকে। দাউদ আক্রান্ত স্থান শুকনো হলে সেটা খসখসে লেগে থাকে। এ দাদ সহজে দূর হতে চায় না শরীর থেকে।
এটা ছত্রাক জনিত রোগ। রিংওয়ার্ম নামক এক ধরনের ছত্রাকের সংক্রমনে দাউদ বা দাদ রোগটি হয়ে থাকে। এটি একটি ত্বকের সংক্রামক রোগ। রিংওয়ার্ম ছত্রাকটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ডার্মাটোফাইটোসিস নামে পরিচিত।দাদ বা দাউদের প্রকারভেদ
আমাদের ত্বকে নানা ধরনের দাউদ হয়ে থাকে। স্থান অনুসারে এদেরকে আসলে নামকরণ করা হয়েছে। শরীরের স্থান অনুসারে। টিনিয়া ক্রুরিস নামক দাউদটি আমাদের পায়ের কুঁচকিতে হয়ে থাকে। টিনিয়া ক্যাপাইটিস নামক দাউদটি আমাদের মাথায় সাধারণত হয়ে থাকে। আমাদের পিঠ, বুক পেট বা হাতে যে দাউদ হয় তার নাম হলো টিনিয়া কর্পোরিস। পায়ের পাতায় যে দাউদ হয় সেটি সাধারণত টিনিয়া পেডিস বা অ্যাথলেটস ফুট দাউদ নামে পরিচিত। এছাড়া আরও একপ্রকার দাউদ বা দাদ রয়েছে যেটি আমাদের নখে সাধারণত হয় সেটার নাম হলো টিনিয়া আঙ্গুয়াম।
দাঁদ বা দাউদের লক্ষণসমূহ
- দাউদ হলে আক্রান্ত স্থানে গোলাকার ক্ষত সৃষ্টি হবে।
- গোলাকার ক্ষতস্থানটি খুশকির মত হবে। হাত দিলে খসখসে ভাব থাকবে।
- গোলাকার আক্রান্ত স্থানটি চুলকাবে।
- ত্বক সাধারণত অনেক পুরু হয়ে যাবে।
- এক ধরনের তরল কষ পড়বে।
- হাত ও পায়ের আঙ্গুলের নখে হলে অস্বচ্ছ ও ভঙ্গুর হয়ে যায়।
দাঁদ বা দাউদ কিভাবে ছড়ায়
দাউদ নামক সংক্রামক এই রোগটি সাধারণত শরীর ঘামে ভেজা, অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন বা দীর্ঘদিনের ভেজা বা আদ্র ত্বকে এটি হতে পারে। আক্রান্ত রোগী চিরুনি তোয়ালের বিছানা ইত্যাদি ব্যবহার না করাই উত্তম। ব্যবহার করলে খুব সহজে একজনের শরীর থেকে অন্য জনের শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই রোগটি। এটি মারাত্মক ধরনের ছোঁয়াচে বা সংক্রামক ব্যাধি।
দাঁদ বা দাউদে আক্রান্ত হলে করণীয়
- এটি ছোয়াচে চর্মরোগ তাই আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে রোগীকে।
- বসবাসের জায়গাসহ সবকিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
- জামাকাপড় ঘন ঘন পরিষ্কার করতে হবে।
- সংক্রমিত স্থান পরিষ্কার করতে হবে বারবার। অন্যের কোন জিনিসপত্র ব্যবহার করা যাবে না।
- সংক্রমিত স্থান প্রতিদিন সাবান ও হালকা গরম পানি দিয়ে ধুতে পারেন।
দাউদের এন্টিবায়োটিক
প্রিয় পাঠক আপনি যদি দাউদের এন্টিবায়োটিক খেতে চান তাহলে আমরা নিচে দুটি এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম বলব সেটা চাইলে খেতে পারেন।
দাউদের এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম:
- ফ্লুগাল (Flugal)
- অমোস্টিন
দাদ বা দাউদ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
দাউদ হলে কি কি খাওয়া নিষেধ?
- চিনিযুক্ত যেকোনো খাবার (ডেজার্ট, জুস বা পানীয়)
- ভাজাপোড়া খাবার
- ফাস্ট ফুড (চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই)
দাউদ কি ছোঁয়াচে রোগ?
দাউদ একটি ছোঁয়াচে রোগ।
দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান কোনটি?
দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান হলো Ketoscalp Soap.
দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ কোনটি?
দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ হলো Flugal 50 ট্যাবলেট।
দাউদের সবচেয়ে ভালো ক্রিম কোনটি?
দাউদের সবচেয়ে ভালো ক্রিম হলো Fungidal -HC ক্রিম।
দাদ হলে কি সাবান ব্যবহার করা যায়?
দাদ হলে সাধারণ সাবান ব্যবহার করা যায় না। তবে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করা যায়।
দাদ কি ভালো হয় না?
দাদ সুচিকিৎসা নিলে ভালো হয়।
দাদ হলে কি বেগুন খাওয়া যাবে?
বেগুন খেলে অনেকের শরীর চুলকায়। তাই না খাওয়া উত্তম।
দাদ হলে কি চিংড়ি খাওয়া যাবে?
চিংড়ি খেলে অনেকের শরীর চুলকায়। তাই না খাওয়া উত্তম।
দাদ হলে কি গরুর মাংস খাওয়া যাবে?
গরুর মাংস খেলে অনেকের শরীর চুলকায়। তাই না খাওয়া উত্তম।
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি?
CLOTRIM মলম।
আমাদের কথা
তো এই ছিল, দাউদের এন্টিবায়োটিক নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি। আশা করি, যারা গুগলে সার্চ করে দাউদের এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম কি জানতে এই আর্টিকেলটি পড়তে এসেছেন তারা অনেক উপকৃত হয়েছেন। কারণ বঙ্গটিউটর.কম দাউদের এন্টিবায়োটিক ঔষধ নিয়ে লেখা এই আর্টিকেলটি অনেক অনলাইন রিসার্চ ও বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে নির্ভুল ও সঠিকভাবে লিখেছে। আর আমরা সব সময় চেষ্টা করি আমাদের সম্মানিত পাঠকদের নিকট নির্ভুল ও সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে। ধন্যবাদ দাউদের এন্টিবায়োটিক নিয়ে লেখা এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।