জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম | খাওয়ার নিয়ম | দাম

জ্বর, সর্দি এবং কাশি সারা বছর কম বেশি থাকলেও ঋতুর পরিবর্তনের সময় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ লক্ষ্য করা যায়। এ ধরনের সংক্রমনে সাধারণত মানুষ ডাক্তারের কাছে যায় না। এই অসুখ মানুষের সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে এটা সাধারণ রোগ। তাই মানুষ তেমন দুশ্চিন্তা করে না।

ঘরে বসে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে খুব সহজে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে অবশ্যই প্রথমে কারণ ও উপসর্গ জানতে হবে। এরপর করণীয় কী তা জেনে নিয়ম মেনে ওষুধ সেবন করতে হবে।

জ্বর, সর্দি এবং কাশির উপসর্গ

  • নাক বন্ধ হওয়া
  • সর্দি থাকা
  • গলা ব্যাথা
  • মাথা ব্যথা
  • মাংসপেশীতে ব্যাথা
  • কাশি
  • হাঁচি
  • জ্বর
  • কানে ও মুখে চাপ অনুভব করা
  • স্বাদ ও ঘ্রাণের অনুভূতি কমে আসা

জ্বর, সর্দি এবং কাশির কারণ

জ্বর:

  • ভাইরাস সংক্রমণ
  • ঠাণ্ডা লাগা
  • ক্যান্সার
  • ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ
  • ফাঙ্গাস ইনফেকশন
  • ম্যালেরিয়া
  • টাইফয়েড
  • ডেঙ্গু
  • আকস্মিক ভয় পেলে 
  • মানসিক আঘাত পেলে
  • পিরিয়ডের কারণে
  • ফোঁড়া বা টিউমার হলে
  • টিকা নিলে

সর্দি:

  • ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ
  • ভাইরাস সংক্রমণ

কাশি:

  • ভাইরাস সংক্রমণ
  • ফ্লু, ঠান্ডা এবং শ্বাসযন্ত্রের অন্যান্য সংক্রমণের
  • হার্ট ফেইলুর
  • ফুসফুসের ক্যানসার
  • বায়ুদূষণ
  • দীর্ঘদিনের ধূমপানের অভ্যাস
  • হাঁপানি
  • অ্যালার্জি
  • নিউমোনিয়া
  • যক্ষ্মা
  • সাইনোসাইটিস
জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত

জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম

জিম্যাক্স ৫০০ ট্যাবলেট

কার্যকারিতা: জিম্যাক্স বাংলাদেশের স্বনামধন্য স্কয়ার কোম্পানির একটি এন্টিবায়োটিক ওষুধ। যার গ্রুপ নাম হলো এজিথ্রোমাইসিন ডাইহাইড্রেট। এটি ভাইরাস সংক্রমণ ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করে থাকে। জ্বর ঠান্ডা এবং কাশি হলে এটি সেবন করতে পারেন। এছাড়া ত্বকের সংক্রমণ, নিউমোনিয়া এবং ব্রংকাইটিস হলে এটি খাওয়া যায়। শিশুদের জন্য এটি সিরাপ আকারেও পাওয়া যায়।

খাওয়ার নিয়ম: প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা জিম্যাক্স ৫০০ ট্যাবলেট প্রতিদিন ১টি করে ৭ দিনে ৭টি সেবন করবে। ৭ দিন এই ওষুধ খেলে ডোজ সম্পূর্ণ হবে। তবে এটি সেবন করার পূর্বে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। গর্ভাবস্থায় ও স্তনদানকালীন এই এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট সেবন করার পূর্বে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে। মনে রাখবেন, এন্টিবায়োটিক ডোজ সম্পূর্ণ না করলে কাজ করে না। অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য জিম্যাক্স ২৫০ ট্যাবলেট পাওয়া যায়।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: জিম্যাক্স ৫০০ ট্যাবলেট সেবনে নিম্নে উল্লেখিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সমূহ দেখা যায়:
  • বমি 
  • বমি বমি ভাব
  • ডায়রিয়া 
  • মাথা ব্যথা 
  • ঘুম ঘুম ভাব
  • পাকস্থলীর সমস্যা ইত্যাদি
দাম: স্কয়ার কোম্পানির প্রতিটি জিম্যাক্স ৫০০ ট্যাবলেট এর মূল্য ৩৫ টাকা এবং প্রতি পাতার মূল্য ৩৫০ টাকা।

সিপ্রোসিন ৫০০ ক্যাপসুল

খাওয়ার নিয়ম: সিপ্রোসিন বাংলাদেশের স্বনামধন্য স্কয়ার কোম্পানির একটি এন্টিবায়োটিক ওষুধ। যার গ্রুপ নাম হলো সিপ্রোফ্লক্সাসিন। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের সিপ্রোসিন ৫০০ ক্যাপসুল প্রতিদিন ২টি সেবন করতে হবে। এভাবে এই ক্যাপসুল সাত দিন সেবন করা লাগে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সিপ্রোসিন ২৫০ ক্যাপসুল পাওয়া যায়। অবশ্যই খাওয়ার পর ভরা পেটে খাবেন। রোগভেদে সেবনবিধি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করবেন। এই ক্যাপসুল গর্ভাবস্থায় ও স্তনদানকালে মায়েদের সেবন করা যাবে না। শিশুদের জন্য সিরাপ পাওয়া যায়।

দাম: স্কয়ার কোম্পানির এই ক্যাপসুল এর দাম ১৫.০৫ টাকা এবং প্রতি পাতার মূল্য ১৫০.৫০ টাকা মাত্র।

এছাড়া আরো কিছু কার্যকরী জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো: 
  • সেফ-৩ ক্যাপসুল

জ্বর, সর্দি এবং কাশি হলে করণীয়

  • পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিন এবং ঘুম নিশ্চিত করুন।
  • শরীর সবসময় গরম রাখার চেষ্টা করবেন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল পান করবেন। যেমন: ফলের জুস, চিড়া পানি, ডাবের পানি, স্যুপ, ইত্যাদি।
  • দৈনিক ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান নিশ্চিত করতে হবে। 
  • আপনার যদি গলায় ব্যথা থাকে তাহলে পানিতে লবণ দিয়ে গরম করে গড়গড়া করতে পারেন।
  • যদি খুব বেশি কাশি হয় তাহলে উপশম করার জন্য মধু খেতে পারেন। তবে বাচ্চাদের ভুলেও মধু খাওয়াবেন না।
  • প্রয়োজনে জ্বর, সর্দি এবং কাশির ওষুধ সেবন করুন। শুরুতেই এন্টিবায়োটিক সেবন করবেন না।
  • ভুলেও ফ্রিজের পানি খাবেন না।
  • আদা ও লেবু মিশ্রিত রং চা বারবার খেতে পারেন।
  • ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন। উদাহরণস্বরূপ: আমড়া, লেবু, কমলা ও জাম্বুরা ইত্যাদি।

Next Post Previous Post