স্মার্ট বাংলাদেশ রচনা | বাছাইকৃত পয়েন্ট | ২০ মিনিট পড়লেই মুখস্ত হবে


জেনে নিন স্মার্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে রচনা

স্মার্ট বাংলাদেশ রচনা

ভূমিকাঃ ডিজিটাল প্রযুক্তির নিত্যনতুন উদ্ভাবনের পথ ধরে আসা চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য অগ্রগতিতে এগিয়ে যাওয়া বর্তমান সরকার বহুমাত্রিক পরিকল্পনা-কর্মকৌশল গ্রহণ ও সফল বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ‘ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত এবং উদ্ভাবনী’। অর্থাৎ সব কাজই হবে স্মার্ট। 

'স্মার্ট বাংলাদেশ কী: স্মার্ট বাংলাদেশ’ বলতে স্মার্ট নাগরিক, সমাজ, অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার গড়ে তোলা হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও আর্থিক খাতের কার্যক্রম স্মার্ট পদ্ধতিতে রূপান্তর হবে। এজন্য সরকারি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং এর উন্নয়নে একটি দক্ষ ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন কার্যক্রম ডিজিটাইজেশন করা হবে।

স্মার্ট বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতায় পরিপূর্ণতা পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে কাজ শুরু হয়ে গেছে।

চার স্তম্ভে স্মার্ট বাংলাদেশঃ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্তম্ভ হবে চারটি। যথা: স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি। স্মার্ট বাংলাদেশে প্রযুক্তির মাধ্যমে সবকিছু সম্পন্ন হবে। 

স্মার্ট সিটিজেন: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কমিউনিটির উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকার জন্য ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন করা, নাগরিক দায়িত্ব ও টেকসইতার সংস্কৃতি গড়ে তোলা।

স্মার্ট গভর্নেন্স: সরকারী কার্যক্রমে প্রশাসনিক দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং প্রতিক্রিয়াশীলতা বাড়ানোর জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার, আরও কার্যকর এবং জবাবদিহিমূলক জনপ্রশাসনের প্রচার।

স্মার্ট ইকোনমি: সম্পদ ব্যবস্থাপনায় স্থিতিস্থাপকতা এবং দক্ষতা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, ডিজিটাল রূপান্তর এবং টেকসই অনুশীলন গ্রহণ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চালনা করা।

স্মার্ট সোসাইটি: ডিজিটাল সাক্ষরতা, সামাজিক সংহতি প্রচার করে এবং সকল নাগরিকের সম্মিলিত কল্যাণের জন্য সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে একটি সংযুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল সম্প্রদায় তৈরি করা।

স্মার্ট  বাংলাদেশের রোডম্যাপঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নাম পরিবর্তন করে স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। স্মার্ট বাংলাদেশ পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় দুই লাখ বিদ্যালয়, ভূমি অফিস, হেলথ কমপ্লেক্সকে ফাইবার অপটিকের আওতায় আনা হবে। অনলাইনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চালু হবে ওয়ান স্টুডেন্ট ও ওয়ান ল্যাপটপ। 

র্ট বাংলাদেশ বিষয়ে সুধীজনের মন্তব্যঃ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মাইন্ডসেট পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি, বলেন, আমাদের কার কোন জায়গায় কাজ করার সুযোগ আছে, তার একটি সুনির্দিষ্ট ক্যানভাস তৈরি করতে হবে এবং প্রত্যেকের কাজগুলোর মধ্যে সমন্বয় রাখতে হবে। আইসিটি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিভিত্তিক, জ্ঞানভিত্তিক এবং উদ্ভাবনী বাংলাদেশ। 

উপসংহারঃ ২০৪১ সালের মধ্যে উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অত্যাধুনিক পাওয়ার গ্রিড, গ্রিন ইকোনমি, দক্ষতা উন্নয়ন, ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে স্বীকৃতি প্রদান এবং নগর উন্নয়নে কাজ করছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিল্পের বিকাশ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী বাহিনী সৃষ্টি এবং পরিবেশ সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার ধীরে ধীরে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

Next Post Previous Post