বাচ্চা না হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম [খাওয়ার নিয়ম ও দাম]

বাচ্চা না হওয়ার ট্যাবলেট সম্পর্কে বিস্তারিত
জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কারণে। কেউ হয়তো অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ রোধ করতে চায়। আবার কেউ হয়তো ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে বাচ্চা নিতে চায় না। 

আবার কারো যদি একাধিক সন্তান থাকে তাহলে তো অতিরিক্ত নেয়ার কোনো মানে হয় না। এছাড়া জীবন উন্নত করার উদ্দেশ্যে অনেকেই বাচ্চা নিতে আগ্রহী না। 

কারণ পরিবারের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে খরচ বৃদ্ধি পায়। আয় সীমিত হওয়ার কারণে সবাইকে ভালো সাপোর্ট দেয়া সম্ভব হয় না। এজন্য নারীরা সাধারণত তারা বাচ্চা না হওয়ার ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন। 

এই ট্যাবলেট আবার দুই রকমের হয়ে থাকে। একটা সাধারণ পিল হিসেবে পরিচিত আর একটা ইমার্জেন্সি পিল হিসেবে পরিচিত।

বাচ্চা না হওয়ার ট্যাবলেট

বাচ্চা না হওয়ার কিছু সাধারণ পিলের নাম ও দাম নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

  • ফেমিকন ট্যাবলেট (প্রতি ইউনিট ২৭.৪৪ টাকা)
  • মায়া বড়ি (বিনামূল্যে পাওয়া যায়)
  • নরেট ২৮ ট্যাবলেট (প্রতি ইউনিট ২৩.৪২ টাকা)
  • কনরেনা আর ট্যাবলেট ((প্রতিটি ট্যাবলেট ১.৫ টাকা)

উপরে উল্লেখিত সাধারণ পিলগুলো নিয়মিত ব্যবহার করা যাবে। 

আরো পড়ুন: ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম

বাচ্চা না হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম (ইমার্জেন্সি পিল)

বাচ্চা না হওয়ার কিছু ইমার্জেন্সি পিলের নাম ও দাম নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

  • 5X ইমারজেন্সি কনস্টাসেপ্টিভ পিল (প্রতি ইউনিট ১৯৫ টাকা)
  • নরপিল ইমারজেন্সি কনস্টাসেপ্টিভ (প্রতি ইউনিট ৭৫ টাকা)
  • পিউলি ইমারজেন্সি পিল (প্রতি ইউনিট ১৯৫ টাকা)
  • নভেলন ২১ ইমারজেন্সি কনস্টাসেপ্টিভ (প্রতি ইউনিট ৪০০ টাকা)
  • রোজেন ২৮ ইমারজেন্সি কনস্টাসেপ্টিভ (প্রতি ইউনিট ৩৯৯ টাকা)
  • নোরিক্স ১ ইমারজেন্সি পিল (প্রতি ইউনিট ৬০ টাকা)
  • আই-পিল ইমারজেন্সি কনস্টাসেপ্টিভ (প্রতি ইউনিট ১৯০টাকা)
  • ইমকন ১ ইমারজেন্সি কনস্টাসেপ্টিভ (প্রতি ইউনিট ৭০টাকা)

উপরে উল্লেখিত পিলগুলো জরুরী মুহূর্ত ছাড়া সেবন করা যাবে না। জীবনে একবার সেবন করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এই পিল দ্বিতীয়বার সেবনে কার্যকারিতার কোন নিশ্চয়তা নেই।

ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম 

এই পিল সাধারণত অরক্ষিত সম্পর্ক স্থাপনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেবন করতে হয়। বৈধ কিংবা অবৈধ অরক্ষিত সম্পর্ক যখনই আপনাদের মধ্যে  হবে ঠিক সেই মুহূর্ত থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এটা সেবন করতে হবে তাহলে কার্যকারিতা পাওয়া যাবে। সম্পর্ক স্থাপন শেষ হওয়া মাত্রই এই পিল সেবন করা ভালো। এতে কার্যকারিতা বেশি পাওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া যায়। সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ইমার্জেন্সি পিলগুলোর নাম হল নোরিস্ক ১ এবং ইমকন ১। মনে রাখবেন এগুলো সেবন করলে অনেক মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

আরো পড়ুন: নোরিক্স ১ পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

Next Post Previous Post