অমিডন এর কাজ কি | অমিডন কেন খায় | অমিডন কিসের ঔষধ

অমিডন এর কাজ জেনে নিন বিস্তারিত
ইনসেপ্টা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানির ওষুধ হল অমিডন যেটির জেনেরিক নাম হল ডমপেরিডন ম্যালিয়েড। এটি বাজারে সিরাপ ও ট্যাবলেট উভয় ফরমেটে পাওয়া যায়। এছাড়া এটি ড্রপ আকারেও পাওয়া যায়। বড়রা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ট্যাবলেট সেবন করে থাকে। আর শিশুদের জন্য সিরাপ রয়েছে।  

অমিডন এর কাজ কি | অমিডন কেন খায়

অমিডন বিভিন্ন রকম উপসর্গে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এটি বমির ওষুধ হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত। বমি সাথে সম্পর্কিত কিছু উপসর্গে এটা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা এবং খাওয়ার পর বুকে জ্বালাপোড়া করলে এটি সেবন করতে পারেন। কারো যদি খাবারের অরুচি থাকে তাহলেও সেবন করতে পারেন। পাকস্থলীর খাবার উপরের দিকে উঠে আসলে এটি সেবন করতে পারেন। এছাড়া কারো যদি বমি বমি ভাব, অল্প খেলেই পেট ভরে যায়, ঢেকুর ওঠা সমস্যা এবং হজমের সমস্যা হয় তাহলে এটি নির্দেশিত হয়ে থাকে। উপরে উল্লেখিত যেকোনো ধরনের উপসর্গ প্রতিরোধে এই ওষুধ অত্যন্ত কার্যকরী। আলসার বিহীন অজীর্ণ রোগেও এটি সেবন করা যায়। তবে বমির একটি সেরা ওষুধ এটি। এ কারণেই সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নবজাতক শিশুদের পেটে গ্যাস হলে সিরাপ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা।

অমিডন কিসের ঔষধ

অমিডন বমি ও বমি বমি ভাব নির্মূলে অত্যন্ত কার্যকরী ওষুধ। এছাড়া আরো বিভিন্ন উপসর্গ প্রতিরোধে এই ওষুধ সেবনের নির্দেশনা দেওয়া হয়ে থাকে যেগুলো আমরা উপরে আলোচনা করেছি। তবে সিরাপ ওষুধটি শিশুদের পেটে গ্যাস হলে কিংবা বমি বা বমি বমি ভাব হলে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

অমিডন খাওয়ার নিয়ম

অমিডন খাওয়ার ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পূর্বে সেবন করতে হয়। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা এই ট্যাবলেট প্রতিদিন ৩টি সেবন করবে। সকাল, বিকাল এবং রাতে একটি করে সেবন করতে হবে। শিশুদের খাওয়ানোর জন্য রয়েছে সিরাপ। এটি ১২ সপ্তাহের বেশি সময় খাওয়া যাবে না। শিশুদের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রামের বেশি সিরাপ সেবন করানো যাবে না। যেসব শিশুদের বয়স ৬ মাস থেকে এক বছর তারা হাফ চামচ করে দিনে দুইবার খাবে। এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুরা প্রতিদিন দুইবার খাবে এবং প্রতিবার এক চা চামচ করে খাবে। ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের প্রতিদিন দেড় চা চামচ করে দিনে দুইবার খাওয়াতে হবে। সকল শিশুদের খাবার গ্রহণের ২০ মিনিট পূর্বে খাওয়াতে হবে। গর্ভাবস্থায় এই ওষুধ গ্রহণ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। তবে স্তনদানকালীন এটি গ্রহণ করা যেতে পারে কারণ এটি দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।

অমিডন ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

অমিডন সেবন করার ফলে রক্তে প্রোল্যাকটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে নারীদের দুগ্ধ নিঃসরণ ও স্তনের আকার বেড়ে যেতে পারে। কখনো কখনো ক্ষত হতে পারে। এছাড়া কিছু সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেগুলো দেখা দিতে পারে সকলের মধ্যে। এর মধ্যে রয়েছে মাথা ব্যথা, ঝিমুনি পিপাসা পাওয়া, চুলকানি, কারো কারো ক্ষেত্রে আবার পাতলা পায়খানা, নার্ভাসনেস এবং ত্বকে লালচে ভাব দেখা যেতে পারে। এজন্য অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক এই ওষুধ গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন।

অমিডন ট্যাবলেট এর দাম কত

অমিডন ট্যাবলেট ১০ মিঃগ্রাঃ এর মূল্য হল ৩. ৫০ টাকা। প্রতি পাতার ট্যাবলেট এর মূল্য ৫২.৫০ টাকা মাত্র। প্রতি পাতায় ১৫ টি ট্যাবলেট থাকে। এছাড়া এটি বাজারে সিরাপ ও ড্রপ আকারে পাওয়া যায়। ৪০ মিলি সিরাপ এর মূল্য ৬০ টাকা মাত্র। প্রতিটি ১৫ মিলি ড্রপের মূল্য ২৫ টাকা মাত্র। নিকটস্থ যে কোন ফার্মেসি থেকে আপনি সংগ্রহ করতে পারবেন।

জেনে রাখা ভালো

এই ওষুধের প্রতি যাদের সংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। বিশেষ করে নবজাতকের ক্ষেত্রে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সহিত ব্যবহার করতে হবে। যাদের যকৃতের সমস্যা রয়েছে তারাও অতি সতর্কতা অবলম্বন করবেন। এই ওষুধ খেলে কেউ মোটা হয় না।
Next Post Previous Post