ইন্ডিয়ান পণ্য বর্জন করুন।

টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না


টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না জেনে নিন বিস্তারিত সবকিছু
আমাদের প্রত্যেকের গলার ভিতরে দু'পাশের দুটি গ্রন্থি রয়েছে যেটি টনসিল নামে পরিচিত। এটি আমাদের শরীরে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মত কাজ করে থাকে। যখন প্রয়োজন হয় এন্টিবডি তৈরি করে প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। 

তবে বিভিন্ন কারণে এই টনসিলের প্রদাহ হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের এই টনসিল প্রদাহ রোগটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। অনেক সময় দেখা যায় শিশুদের প্রতি বছর একাধিকবার এই রোগটি হচ্ছে।

টনসিল কেন হয়?

আমাদের গলায় টনসিল হওয়ার মূল কারণ হলো ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। শিশুরা সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণের কারণে এই টনসিল প্রদাহে সংক্রমণিত হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস যা ভাইরাসের কারণে। এছাড়া পুষ্টির অভাব বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, অত্যাধিক ঠান্ডা কমল পানীয় বা ড্রিংকস পান করা, ঠিকমতো মুখের যত্ন না নেওয়া, স্যাঁতসেঁতে বাসস্থান, অত্যধিক পরিমাণে ঠান্ডা আবহাওয়া ও গরমে ঘাম বসে গেলে টনসিল প্রদাহ হতে পারে আপনার।

টনসিল হলে কি করা উচিত?

আপনার গলায় টনসিল হলে স্যালাইন কিংবা লবণ মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে বারবার কুলি করতে হবে। আপনি চাইলে লেবু বা আদা চা খেতে পারেন। গলায় ঠান্ডা লাগানো যাবে না কোনো ভাবেই। খুব বেশি ব্যথা ও জ্বর থাকলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না?

  • চিপস, চানাচুর, চটপটি ও ফুচকা খাওয়া যাবে না। অর্থাৎ ফাস্টফুড পরিহার করতে হবে।
  • ঠান্ডা কোমল পানীয় পরিহার করতে হবে।
  • অতিরিক্ত তেল ও মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
  • টক জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
  • বাঁধাকপি, ফুলকপি ও ব্রকলি জাতীয় সবজি পরিহার করতে হবে।
  • দুগ্ধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। উদাহরণস্বরূপ পনির ও চিজ প্রভৃতি।
  • মুলা, মিষ্টি আলু ও চিনা বাদাম পরিহার করতে হবে।
  • রান্না করা গাজর এড়িয়ে চলতে হবে।
  • চিনি এড়িয়ে চলতে হবে।
  • পাকা কলা ও শুকনো কলা খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলতে হবে।
  • মধু ও মিষ্টি কম খেতে হবে।
  • ঝাল খাবার।
  • ধূমপান করা যাবে না।
  • টমেটো এবং টমেটো সস।
  • এলকোহল।
  • আচার প্রভৃতি।

গলায় টনসিল হলে কি করনীয়?

গলায় টনসিল হওয়া সাধারণ বিষয়। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে গলায় টনসিল হতে পারে। ভাইরাসজনিত কারণে টনসিল হলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। স্যালাইন কিংবা লবণ মিশ্রিত গরম পানি বারবার পান করলে ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। আপনি চাইলে আদা ও চা খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

টনসিলের চিকিৎসা কি?

টনসিলের প্রাথমিক চিকিৎসা হলো লবণ মিশ্রিত গরম পানি কিংবা স্যালাইন পানি বারবার পান করা। আপনি চাইলে পরিষ্কার নরম কাপড় চুলায় বারবার গরম করে টনসিল হওয়া স্থানে ছ্যাক দিতে পারেন। কাপড় সুতি হলে ভালো হয়। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথা ও জ্বর হলে অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অনেক সময় টনসিলের অপারেশন করা লাগতে পারে।

টনসিল ফেটে গেলে কি হয়?

টনসিল ফেটে গেলে পরবর্তীতে সেটা জটিল রূপ ধারণ করতে পারে। খুব দ্রুত রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে অপারেশন করা লাগতে পারে।

টনসিল অপারেশন খরচ কত?

টনসিল অপারেশনের খরচ খুব বেশি নয়। টনসিল অপারেশনের খরচ ১৫,০০০ থেকে ২৫,০০০ হতে পারে। ঢাকা শহরে টনসিল অপারেশন করালে খরচ বেশি। তবে স্থান ভেদে খরচের তারতম্য হবে। এটা আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে।

Next Post Previous Post

ইন্ডিয়ান পণ্য বর্জন করুন।