মেছতা দূর করার ঔষধ [কারণ, উপায়, নাম ও দামসহ]

মেছতা ত্বকের একটি সাধারণ চর্ম রোগ। মেছতা হলে মুখে বাদামি বা কালো দাগ দেখা যায়। মেছতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুখে হয়ে থাকে। মুখে মেছতা হওয়ার শতকরা হার হলো ৯৫% এর মত। তবে অনেকের এই মেছতা বুকে বা হাতে হতে পারে।
মেছতা দূর করার ঔষধ নিয়ে বিস্তারিত

মেছতার প্রকারভেদ

মেছতা সাধারণত তিন প্রকারের দেখা যায়। যথা: 

  • এপিডার্মাল মেলাজমা: এ ধরনের মেছতা সাধারণত ত্বকের ওপরের স্তরে হয়ে থাকে। 
  • ডার্মাল মেলাজমা: এ ধরনের মেছতা সাধারণ ত্বকের ভেতরের স্তরে হয়ে থাকে।
  • মিক্স মেলাজমা: এ ধরনের মেছতা ত্বকের ওপরে ও ভেতরে উভয় স্তরে হয়ে থাকে।

মেছতা কেন হয়?

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, মেছতা হওয়ার প্রধান কারণ হলো জেনেটিক প্রিডিসপজিশন। এছাড়া নিম্নে উল্লেখিত কারণে একজন মানুষের ত্বকে মেছতা হতে পারে:

  • কসমেটিকসের প্রতিক্রিয়ার জন্য
  • জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল
  • গর্ভাবস্থা
  • চুলার আগুন
  • সূর্যের ক্ষতিকর আলো
  • যকৃতের জটিলতার কারণে

মেছতা হলে করণীয়

  • আপনার যদি ইপিডার্মাল সুপারফিসিয়াল মেছতা থাকে তবে আপনি সঠিক সানব্লক ব্যবহার করতে পারেন। এটি দিনের বেলা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করবে।
  • রাতে আপনি ব্লিচিং এজেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। হাইড্রোকুইনোন, ফলিক অ্যাসিড এবং অ্যাসকরবিক নামক একটি ব্লিচিং এজেন্ট ব্যবহার করে, আপনি মুখ থেকে প্রায় ৪০% মেছতা অপসারণ করতে সক্ষম হবেন।
  • কখনও কখনও হাইড্রোকুইনোন ব্লিচিং এজেন্ট ব্যবহার করার পরে, মেছতা আপনার মুখে ফিরে আসতে পারে। এর জন্য আপনাকে ক্লিগমেজ ফর্মুলা ব্যবহার করতে হবে। ক্লিগমেজ ফর্মুলা তৈরি করতে হাইড্রোকুইনোন, সামান্য ভিটামিন এ ডেরিভেটিভ এবং ট্রিটিনোইনের মিশ্রণ প্রয়োজন হবে। এটি নিয়মিত মুখে লাগালে মুখের মেছতা দূর হয়ে যাবে।
  • যদি আপনার মুখে এখনও মেছতা থাকে তবে আপনি কেমিক্যাল পিল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। সাধারণ কেমিক্যাল পিল ড্রেকোলিক অ্যাসিড এবং ট্রাইক্লোরোএসেটিক অ্যাসিড দিয়ে তৈরি করা হয়।
  • সবচেয়ে ভালো হয় রোদে বের হওয়ার আগে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে।

মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায়

ছেলে এবং মেয়ে উভয়েরই মুখের মেছতা দূর করার কিছু সাধারণ ঘরোয়া প্রতিকার বা উপায় রয়েছে যা মেনে চললে কিছু দিনের মধ্যে ঘরেই প্রাকৃতিকভাবে মুখের মেছতা দূর করা যায়। তাহলে চলুন জেনে নেই কিছু সাধারণ ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে:

  • ভিনেগারের ব্যবহার: আমরা প্রায় সবাই জানি যে ভিনেগারে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। তাই সমপরিমাণ ভিনেগার ও পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করলে ময়লা ও দাগ ধীরে ধীরে পরিষ্কার হবে।
  • হলুদের ব্যবহার: ৫ টেবিল চামচ হলুদ, ১০ টেবিল চামচ দুধ এবং ১ টেবিল চামচ বেসন একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং ত্বকে আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।
  • পেঁয়াজের ব্যবহার: পেঁয়াজের রস ও ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে দিনে দুবার তুলা দিয়ে মেছতা আক্রান্ত স্থানে লাগালে মেছতা ধীরে ধীরে চলে যাবে।
  • লেবুর রসের ব্যবহার: আপনি চাইলে প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে মেছতা আক্রান্ত স্থানে লেবুর রস লাগাতে পারেন।
  • মধুর ব্যবহারঃ প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে মেছতা আক্রান্ত স্থানে মধু লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন। কারণ মধু ত্বক উজ্জ্বল করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। যষ্টি মধুর নির্যাস সবচেয়ে ভালো।
  • পেঁপের ব্যবহার: আপনি চাইলে কাঁচা পেঁপের পেস্ট তৈরি করে প্রতিদিন মেছতা আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন। এটি ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। পেঁপের পেস্ট ত্বকে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখতে হবে।
  • টমেটোর ব্যবহার: আপনি টমেটো কেটে মেছতা আক্রান্ত স্থানে প্রতিদিন লাগাতে পারেন। প্রতিদিন ১০ মিনিট করে লাগালে মেছতা ধীরে ধীরে চলে যাবে।
  • অ্যালোভেরার ব্যবহার: আপনার মুখে মেছতা হলে ঘুমানোর আগে অ্যালোভেরার রস মুখে লাগিয়ে সারারাত রাখতে পারেন। এটি ধীরে ধীরে আপনার মেছতা হালকা করবে এবং আপনার ত্বককে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে।

মেছতা দূর করার ঔষধ

  • White Sunblock Cream
  • P Vita Melasma Cream
  • Berberis Cream
  • মেলাট্রিন ক্রিম

আরও পড়ুন: মেছতার জন্য কোন ক্রিম ভালো জেনে নিন এখনই।

Next Post Previous Post