ইন্ডিয়ান পণ্য বর্জন করুন।

ক্যাডেট কলেজে পড়ার খরচ, সুবিধা, যোগ্যতা সবকিছু বিস্তারিত

জেনে নিন বিস্তারিত ক্যাডেট কলেজে পড়ার খরচ সম্পর্কে
বাংলাদেশে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষা প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ইংরেজি, গণিত, বাংলা, বিজ্ঞান, আইসিটি এবং সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন থাকে। ভর্তি পরীক্ষা ক্যাডেট বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হয়।

প্রতি বছর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এরপর সফল প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়। সাক্ষাৎকারটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বোর্ড অব অফিসার দ্বারা পরিচালিত হয়।

এরপর প্রতি বছর ফেব্রুয়ারী মাসে সফল প্রার্থীদের ভর্তি করা হয়। প্রতি বছর মার্চ মাসে শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়।

এটি একটি আবাসিক বিদ্যালয়। এখানে ছাত্রদের বিনামূল্যে বোর্ডিং এবং থাকার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া বিনামূল্যে শিক্ষা, ইউনিফর্ম, বই এবং স্টেশনারিও দেওয়া হয়।

ক্যাডেট কলেজে পড়ার সুবিধা

বাংলাদেশের একটি ক্যাডেট কলেজে অধ্যয়ন করলে যেসব সুবিধা পাওয়া যায়:

  • চমৎকার একাডেমিক মান: বাংলাদেশের ক্যাডেট কলেজগুলো উচ্চ-মানের শিক্ষা প্রদান করে যা একটি কঠোর একাডেমিক পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে। শিক্ষার্থীদেরকে উচ্চ যোগ্য এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দ্বারা পড়ানো হয় যারা তাদের পড়াশোনায় পারদর্শী হতে সাহায্য করে।
  • সামরিক প্রশিক্ষণ: একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি, ক্যাডেট কলেজ ছাত্রদের সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এটি কেবল তাদের শৃঙ্খলা বিকাশে সহায়তা করে না বরং সশস্ত্র বাহিনীতে ভবিষ্যতের ক্যারিয়ারের জন্য তাদের প্রস্তুত করে।
  • ব্যক্তিত্ব বিকাশ: একটি ক্যাডেট কলেজে অধ্যয়ন ছাত্রদের একটি শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব এবং নেতৃত্বের দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে। তারা দলে কাজ করতে, দায়িত্ব নিতে এবং স্বাবলম্বী হতে শেখে, যা ব্যক্তিগত এবং পেশাগত উভয় জীবনেই মূল্যবান।
  • পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপ: ক্যাডেট কলেজগুলো খেলাধুলা, সঙ্গীত, বিতর্ক এবং নাটকের মতো পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপের একটি পরিসর অফার করে। এই ক্রিয়াকলাপগুলো শিক্ষার্থীদের তাদের আগ্রহ এবং প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করে এবং সামাজিকীকরণ এবং নেটওয়ার্ক করার সুযোগও দেয়।
  • বৃত্তির সুযোগ: অনেক ক্যাডেট কলেজ যোগ্যতা এবং প্রয়োজনের ভিত্তিতে আর্থিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির সুযোগ দেয়।

ক্যাডেট কলেজের বেতন কত?

ক্যাডেট কলেজের বর্তমানে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করা আছে ১৫০০ এবং সর্বোচ্চ বেতন ২২,০০০ টাকা। অভিভাবকদের আয়ের উপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারণ করা হয়।

আসন সংখ্যা:

ক্যাডেট কলেজের মোট আসন সংখ্যা ৬০০টি।

ভর্তির যোগ্যতা:

বাংলাদেশে ক্যাডেট কলেজে ভর্তির যোগ্যতা নিম্নরূপ:

  • জাতীয়তা: প্রার্থীকে অবশ্যই জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • শিক্ষা: প্রার্থীকে অবশ্যই ষষ্ঠ শ্রেণি বা সমমানের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • বয়স: ০১ জানুয়ারি, বয়স হবে ১৩ বছর ০৬ মাস।
  • শারীরিক সুস্থতা: উচ্চতা – ন্যূনতম ৪ ফুট ৮ ইঞ্চি (ছেলে/মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে)। ফিটনেস- প্রার্থীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট হতে হবে।

ক্যাডেট কলেজে পড়ে ক্যারিয়ার

বাংলাদেশে একটি ক্যাডেট কলেজে ভর্তির ফলে বেশ কিছু চাকরির সুযোগ হতে পারে, বিশেষ করে সামরিক ও সরকারি খাতে। তার মধ্যে রয়েছে:

  • বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী
  • সিভিল সার্ভিস
  • আইন প্রয়োগকারী
  • প্রাইভেট সেক্টর

ক্যাডেট কলেজে পড়ার খরচ

বাংলাদেশের একটি ক্যাডেট কলেজে পড়ার খরচ কলেজের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। যাইহোক, প্রতি বছর গড় খরচ প্রায় ১,০০,০০০ টাকা। প্রতি বছর ১,০০,০০০ এর মধ্যে রয়েছে টিউশন, বোর্ডিং এবং অন্যান্য ফি।

এখানে বাংলাদেশের একটি ক্যাডেট কলেজে অধ্যয়নের জন্য জড়িত খরচগুলোর খাত রয়েছে:

  • টিউশন
  • বোর্ডিং
  • অন্যান্য ফি

এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এই খরচগুলো কেবলমাত্র অনুমান এবং নির্দিষ্ট কলেজ এবং স্বতন্ত্র ক্যাডেটের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

Next Post Previous Post

ইন্ডিয়ান পণ্য বর্জন করুন।