৭২ ঘন্টার পিল এর নাম [নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও দাম]
ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম
অরক্ষিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত সম্পর্ক স্থাপনের পর গর্ভধারণের ঝুঁকি থেকে রেহাই পেতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইমারজেন্সি পিল সেবন করলেই কাজ হবে। অর্থাৎ উভয়ের মিলন সংগঠিত হওয়ার পর সেই সময় থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইমার্জেন্সি পিল সেবন করতে হবে। তবে সব সময় তাড়াতাড়ি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
ইমারজেন্সি পিল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- বমি বমি ভাব
- প্রচন্ড রকমের মাথা ব্যথা হতে পারে
- মেয়েদের দেহের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে
- পিরিয়ড আগে কিংবা পরে হতে পারে। অর্থাৎ পিরিয়ডের নির্দিষ্ট সময়ে অনেক আগে কিংবা অনেক বিলম্বে পিরিয়ড হতে পারে।
- ঋতুস্রাব অনিয়মিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
- বেশি বেশি খেলে গর্ভধারণে সমস্যা হয়
৭২ ঘন্টার ইমারজেন্সি পিল এর নাম
- রোজেন ২৮
- আই-পিল
- নোরিক্স ১
- ইমকন ১
- 5X ইমারজেন্সি কনস্টাসেপ্টিভ পিল
- পিউলি
- নভেলন ২১
- নরপিল ইমারজেন্সি কনস্টাসেপ্টিভ
ইমারজেন্সি পিল এর দাম কত?
বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ৭২ ঘন্টার পিল রয়েছে। তবে নোরিক্স নামক পিলটির দাম হলো ৬০ টাকা পাতা। প্রতি পাতায় ২ টি ট্যাবলেট থাকে।
ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার কতদিন পর পিরিয়ড হয়?
ইমারজেন্সি পিল খেলে সাধারণত মেয়েদের পিরিয়ড বা মাসিক বিলম্ব হয়। মেয়েদের সাধারণ পিরিয়ড সময় থেকে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ১৪ দিন মাসিকের সময় বিলম্ব হতে পারে। আর অবশ্যই মনে রাখতে হবে এটা কোন ধরনের মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ করতে মূলত মেয়েরা জরুরি মুহূর্তে এ ধরনের ট্যাবলেট সেবন করে থাকে।
ইমারজেন্সি পিল কোনটা ভালো?
ইমকন ১ অথবা নোরিক্স ইমারজেন্সি পিলটি সবচেয়ে ভালো। তবে আপনি চাইলে যেকোনো একটি পিল কিনে সেবন করতে পারেন।