সাফি সিরাপ এর উপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম, দাম সবকিছু বিস্তারিত
ছাফী বা সাফি একটি অতি পরিচিত সিরাপ ওষুধের নাম। হামদার্দ কোম্পানির একটি ওষুধ। এটি প্রাকৃতিক বিভিন্ন ভেষজ উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। রক্ত এবং চর্ম রোগের জন্য এই ওষুধটি বহুল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ইহা রক্তকে পরিশোধন করে এবং চর্মরোগ প্রতিরোধ করে থাকে। সিরাপের পাশাপাশি ক্যাপসুল পাওয়া যায়। বড়দের জন্য ক্যাপসুল ভালো হবে।
সাফি সিরাপ এর উপকারিতা
এই ওষুধ সেবন করলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের কাজ হয়ে থাকে। নিচে উপকারিতা তালিকা আকারে উল্লেখ করা হয়েছে:
- প্রস্রাবকালীন জ্বালা-পোড়া কমায়
- ফোড়া দূর করে
- স্থূলতা কমায়
- সোরাইসিস নির্মূল করে
- খোস-পাঁচড়া দূর করে
- ফুসকুড়ি দূর করে
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- ত্বক ফর্সা করে থাকে
- অবসাদ দূর করে
- রক্ত দূষণমুক্ত করে
- নাকের রক্তক্ষরণ বন্ধ করে
- হাম প্রতিরোধ করে
- যেকোনো চর্ম রোগ দূর করে
- একজিমা দূর করে
- ব্ৰণ কমায়
- বিবর্ণতা কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়
উপাদান
- সোনাপাতা
- রেউচিনি
- নিম
- চিরতা
- তুলসী
সাফি সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে: প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা এই সিরাপ ২ থেকে ৪ চা চামচ করে প্রতিদিন ১ থেকে ২ বার খাবেন।
অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে: আধা থেকে ১ চা চামচ করে প্রতিদিন ১ থেকে ২ বার সেবন করতে হবে।
অথবা রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক সেবন করবেন।
সাফি সিরাপ খাওয়ার আগে না পরে খেতে হয়?
খাওয়ার পরে পেট ভরা অবস্থায় খেতে হবে।
সাফি সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সাফি সিরাপ সেবন করলে তেমন কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তবে অবশ্যই নির্দেশিত মাত্রায় সেবন করতে হবে। তবে এলার্জির ক্ষেত্রে কিছুটা সংবেদনশীল হতে পারে। ভাজা বা মসলা জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। ফাস্টফুড পরিহার করতে হবে।
সাফি সিরাপ এর দাম কত?
- ১০০ মিলির দাম ৭৫ টাকা।
- ২২৫ মিলির দাম ১৪০ টাকা।
- ৪৫০ মিলির দাম ২০০ টাকা।
সাফি সিরাপ খেলে কি ওজন কমে?
এই সিরাপ খেলে ওজন কমে যায়। কারণ এটি স্থুলতা কমানোর ঔষধ।
সাফি সিরাপ খেলে কি মোটা হয়?
এই সিরাপ খেলে কি মোটা হয় না। এই সিরাপ মূলত রক্ত দূষণ দূর করার ওষুধ। এছাড়া এটি ওজন কমানোর ঔষধ।
সাফি সিরাপ কতদিন খেতে হয়?
এই সিরাপ ২ থেকে ৩ মাস একটানা খেতে হয়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়ার অনুরোধ রইল।
সতর্কতা
- ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের খাওয়ানো যাবে।
- স্তনদানকালীন এই ঔষধ খাওয়া উচিত না।
- গর্ভাবস্থায় খাওয়া যাবে না।