গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ ও চিকিৎসা জানুন বিস্তারিত

 
গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ ও কার্যকরী চিকিৎসা জেনে নিনগ্যাস্ট্রিক আলসার এই রোগটির নাম শুনে নাই এমন মানুষ হয়তো খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। কারণ এটি একটি পরিচিত রোগের মধ্যে পড়ে। চিকিৎসকদের ভাষায় এটিকে বলা হয় পেপটিক আলসার ডিজিজ বা গ্যাস্ট্রিক আলসার ডিজিজ। তবে সাধারণ মানুষের কাছে এই রোগটি পরিচিত লাভ করেছে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা বা গ্যাসের ব্যথা বা পেটের আলসার বা খাদ্যনালীর ঘা প্রভৃতি নাম হিসেবে। 

গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ

গ্যাস্ট্রিক আলসার আক্রান্ত রোগীরা সাধারণত ডাক্তারের কাছে গিয়ে উপরোক্ত নামেই উপস্থাপন করে থাকে। অনিয়মিত জীবন যাপন ও খাদ্যাভ্যাস এবং খাবার গ্রহণে অসতর্কতা ও অজ্ঞতাবশত কারণে গ্যাস্ট্রিক আলসার এই রোগটির সংক্রমণ দেখা দেয়।

গ্যাস্ট্রিক আলসার এর লক্ষণ

  • বমি বমি ভাব হওয়া বা বমি হতে পারে।
  • ক্ষুধামন্দা দেখা দিতে পারে।
  • পেটের উপরের দিকের অংশে কখনো কখনো গরম গরম অনুভূতি হতে পারে।
  • বুক বরাবর পেছনের মেরুদন্ডে ব্যথা হতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে হেঁচকি উঠতে পারে।
  • তেতো বা টক ঢেকুর উঠতে পারে।
  • বুকে জ্বালাপোড়া হয়।
  • পেট ফাঁপা দেখা দিতে পারে।
  • পেটে জ্বালাপোড়া করে।
  • ওজন হ্রাস পাওয়া।
  • অরুচি হওয়া।
  • অতিরিক্ত এসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা।
উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলো দেখা দিলে বুঝে নিতে হবে আপনি গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আপনি যদি গ্যাস্ট্রিক আনসার রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

গ্যাস্ট্রিক আলসারের চিকিৎসা

২০ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত যে কেউ এই গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। অতিরিক্ত পরিমাণ এসিড নিঃসরণের ফলে মূলত এই ধরনের ক্ষত সৃষ্টি হয়ে থাকে। এটি একটি জটিল রোগ। এ রোগের এখনো কোনো ভালো চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়নি। তবে কিছু ঔষধ ও সতর্কতা মেনে চললে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 

চিকিৎসা:
  • ধূমপান পরিহার করতে হবে।
  • ব্যথানাশক ঔষধ সেবন থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • নিয়মিত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
  • কিছু গ্যাস্টিকের ঔষধ সেবন করতে পারেন যেটা অনেক উপকার করবে।
  • ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
  • এলকোহল ও ক্যাফেইন যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
  • সহজ কথায় গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না সেগুলো পরিহার করতে হবে।

গ্যাস্ট্রিক আলসারের হোমিওপ্যাথিক ওষুধ

  • আর্সেনিকাম এলবাম
  • এনার্কাডিয়াম ওরিয়েন্টালিস
  • আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম
  • ক্যাডমিয়াম সালফ
  • ক্রিয়োজোট সিকেলিকর
  • ইপিকাক 
  • হাইড্রাসটিস
  • হেমামেলিস
  • মিলিফোলিয়াম
  • নাক্সভম ইত্যাদি 
এসব ঔষধ সেবনে গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগ ভালো হয়ে থাকে। এছাড়া আপনি চাইলে এলোপ্যাথিক ওষুধ সেবন করতে পারে।
Next Post Previous Post