ঠান্ডার এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম [দাম ও নিয়মসহ]

ঠান্ডার এন্টিবায়োটিক ঔষধ সম্পর্কে সঠিক তথ্য
শীতকালে অধিকাংশ মানুষ ঠান্ডা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে এটা মারাত্মক কোন রোগ নয়। ঋতুর পরিবর্তনের কারণে বেশিরভাগ মানুষ এই রোগে ভুগে থাকে। এ রোগটি মূলত ভাইরাসজনিত কারণে হয়ে থাকে বলে তেমন কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। 

তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ঠান্ডা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তখন অনেক মানুষ ঠান্ডা লাগলে ভয় পেয়ে যায়। তবে শীতকালে ঠান্ডা লাগাটা স্বাভাবিক এতে ভয় পাওয়ার তেমন কিছু নেই।

এই ঠান্ডার কারণে মূলত শরীরে হয় জ্বর ইনফ্লুয়েঞ্জা, যা ফ্লু নামেই পরিচিত। ঠান্ডা লাগলে মানুষ স্বাভাবিকভাবেই অসুস্থতা অনুভব করে থাকে। 

তবে যদি আপনার ফ্লু হয়ে থাকে তখন আপনি আরো বেশি অসুস্থতা অনুভব করবেন। এমনও হতে পারে আপনাকে শয্যাশায়ী হয়ে থাকতে হবে।

ঠান্ডার এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম

জিম্যাক্স ৫০০ ট্যাবলেট (স্কয়ার)

কার্যকারিতা: সকল প্রকার ঠান্ডা ও কাশির জন্য এটি একটি সেরা এন্টিবায়োটিক ঔষধ। যাদের দীর্ঘস্থায়ী ও স্বল্প স্থায়ী কাশি রয়েছে তারা এটি সেবন করতে পারে। একটি কাশি ছাড়া যদি কারো সর্দি, ঠান্ডা ও জ্বর আসে তারাও খেতে পারেন।

খাওয়ার নিয়ম: এই ট্যাবলেট প্রতিদিন একটি করে সাত দিন মোট সাতটি ট্যাবলেট খেতে হবে। শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা এই এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট সেবন করবেন। অবশ্যই খাওয়ার পর ভরা পেটে সেবন করবেন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি সময় সেবন করবেন। প্রতিদিন সর্বোচ্চ একটি ট্যাবলেট সেবন করবেন। এভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক সাত দিন খেতে হবে। গর্ভকালীন ও স্তনদানকালীন এই ক্যাপসুল সেবনের পূর্বে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মূল্য: প্রতি পিস জিম্যাক্স ট্যাবলেট এর দাম ৩৫ টাকা মাত্র এবং প্রতি পাতা ট্যাবলেট এর দাম ২৪০ টাকা মাত্র।

টি - সেফ সিরাপ

খাওয়ার নিয়ম: ৬ মাস থেকে ১ বছর বয়সী শিশুদের ১/৩ চা চামচ করে খাওয়াতে হবে। ২ থেকে ৪ বছর বয়সী শিশুদের ১/২ চা চামচ করে খাওয়াতে হবে। ৫ থেকে ১০ বছর বয়সীদের জন্য এক চা চামচ করে দিনে দুইবার খাওয়াতে হয়। ১০ বছর বয়সের অধিক বয়সীরা দুই থেকে তিন চা চামচ করে দিনে দুইবার সেবন করবে। সবাইকে খাওয়ার পর ভরা পেটে সেবন করতে হবে এই সিরাপ।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: এটি সেবন করলে ডায়রিয়া হতে পারে। এছাড়া তলপেটে ব্যথা, বমি এবং এলার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।

দাম: ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কোম্পানির এই ওষুধটি আপনি ৩০ মিলি ১৪৫ টাকায় কোন ফার্মেসি থেকে ক্রয় করতে পারবেন।

এছাড়া আরও কিছু ঠান্ডার এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম নিচে দেওয়া হলো:
  • Ambrox 75SR
  • Askorel SR (50mg)
  • Acorex (15mg)
  • Brolyt (4mg)
  • Alkof Cofgel Tablet
  • Cef 3 Tablet
  • Sedno (5mg)
  • Axodin 180
  • Encilor (10mg)
  • Klarix

বিশেষ সতর্কীকরণ: যেকোনো ধরনের ঔষধ সেবনের পূর্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক সেবন করবেন। ডাক্তার আপনার সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ঔষধ নির্দেশ করে থাকবে।

ঠান্ডা লাগলে করণীয়

  • ঠান্ডা লাগলে সাধারণত রোগীর শরীরে জ্বর থাকে যার কারণে খাবারের প্রতি আগ্রহ তেমন থাকে না। তাই এ সময় চিকিৎসা করা সবচেয়ে বেশি পরিমাণ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। কিন্তু একটা কথা মনে রাখতে হবে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা না করাই ভালো।
  • ঠান্ডা লাগলে সব সময় বিশ্রামে থাকার চেষ্টা করতে হবে। এ সময় ক্লান্তিবোধ সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়ে থাকে।
  • ঠান্ডা লাগলে বেশি বেশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
Next Post Previous Post