বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ [খাওয়ার নিয়ম ও দাম]

বাচ্চাদের আমাশয় রোগের ঔষধ সম্পর্কে জানতে পারবেন
শিশুদের আমাশয় হওয়া সাধারণ একটা রোগ। এতে মৃত্যু ঝুঁকি নেই। তবে দীর্ঘদিন এই সমস্যা থাকলে মৃত্যু ঝুঁকি তৈরি হয়। অনেক সময় আমাশয়ে রক্ত আসে যেটাকে রক্ত আমাশয় বলা হয়। শিশুদের এই সমস্যা সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যেই ভালো হয়ে যায় কোনরকম ঔষধ ছাড়াই। 

বাচ্চাদের আমাশয় রোগের কারণ

  • সংক্রমিত খাবার খেলে
  • সংক্রমিত পানি পান করলে
  • নোংরায় হাত ভালো করে না ধুলে
  • আমাশয় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা
  • ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবীর সংক্রমণের 
  • দুর্বল স্যানিটেশন বা স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন  
  • শিশু অপুষ্টিতে ভুগলে
  • বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে
  • জীবজন্তু বা তাদের মলের সংস্পর্শ লাগলে

বাচ্চাদের আমাশয়ের লক্ষণ

বাচ্চাদের মধ্যে আমাশয়ের লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:

  • পেটে ব্যথা 
  • ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়া কিন্তু পায়খানা পরিষ্কার না হওয়া
  • পাতলা পায়খানা, যা রক্তাক্ত হতে পারে
  • বমি বমি ভাব এবং বমি
  • ক্ষুধা হ্রাস
  • জ্বর
  • ডিহাইড্রেশন
  • ক্লান্তি
  • ওজন হ্রাস

বাচ্চাদের আমাশয় হলে করণীয়

যদি আপনার সন্তানের আমাশয় ধরা পড়ে, তাহলে টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন:

  • বাচ্চাকে খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
  • বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়াতে হবে। (চিনির শরবত, ডাবের পানি, ফলের রস)
  • বাচ্চাকে বিশ্রামে রাখতে হবে।
  • অবস্থা গুরুতর হলে চিকিৎসকের নিকট নিয়ে যেতে হবে।
  • বিশুদ্ধ পানি পান করাতে হবে।
  • কখনো বাইরের খাবার খাওয়ানো যাবে না।
  • মলত্যাগের পর সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস করাতে হবে।
  • প্রয়োজনে আমাশয়ের ঔষধ খাওয়াতে হবে।

বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম

ফিলমেট সিরাপ (Filmet Syrup)

খাওয়ার নিয়ম: এক বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের হাফ চা চামচ করে খাওয়াতে হবে। এক থেকে তিন বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য এক চা চামচ করে খাওয়াতে হবে। তিন থেকে সাত বছর বয়সী বাচ্চাদের ১ থেকে ২ চা চামচ খাওয়াতে হবে। ৭ থেকে ১২ বছর বয়সী বাচ্চাদের দুই চা চামচ করে খাওয়াতে হবে। প্রতিদিন তিনবার খাওয়ার পর ভরা পেটে খাওয়াতে হবে। এই সিরাপ শিশুদের পাঁচ দিন খাওয়ানো যাবে।

দাম: ৬০ মিলি ফিলমেট সিরাপ (সাসপেনশন) দাম মাত্র ৩৫ টাকা।

জক্স সিরাপ (Zox Syrup) (এন্টিবায়োটিক)

খাওয়ার নিয়ম: এটি শিশুদের আমাশয় রোগের এন্টিবায়োটিক ঔষধ। এটি বাজারে সাসপেনশন আকারে পাওয়া যায়। আপনাকে সিরাপ তৈরি করে নিতে হবে। এজন্য প্রথমে বোতলটি ঝাঁকিয়ে নিতে হবে। তারপর বোতলের ভিতর ২০ মিলি ফুটন্ত ঠান্ডা পানি দিতে হবে। এরপর ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে মিশ্রন তৈরি করে নিতে হয়। প্রতিবার খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই সিরাপটি ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে। এক থেকে তিন বছর বয়সী শিশুদের জন্য এক চা চামচ করে খাওয়াতে হবে। ৪ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য দুই চা চামচ করে খাওয়াতে হবে। প্রতিদিন দুইবার করে খাওয়াতে হবে। তিনদিনের বেশি খাওয়ানো যাবে না। রোগের তীব্রতার উপর নির্ভর করে ওষুধের সেবন মাত্রা কম বেশি করা যেতে পারে সেটি অবশ্যই চিকিৎসা করে পরামর্শ অনুসারে।

দাম: ৩০ মিলি জক্স সিরাপ (সাসপেনশন) এর দাম মাত্র ৪০ টাকা। এটি স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানিতে একটি সিরাপ।

এছাড়া আরও কিছু বাচ্চাদের আমাশয় রোগের সিরাপ ঔষধের নাম ও দাম নিচে দেওয়া হলো:

  • Amodis Syrup
  • Ciprocin 250 Syrup (Antibiotic)
Next Post Previous Post