এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম ও ওষুধের নাম

এন্টিবায়োটিক ঔষধ

ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে সাধারণত এন্টিবায়োটিক ওষুধগুলো সেবন করা হয়ে থাকে। তবে নিয়ম না জেনে এই ওষুধ সেবন করলে তেমন কোন ধরনের কার্যকারিতা পাওয়া যাবে না। 

কারণ এই ওষুধের কার্যকারিতা নির্ভর করে এর ব্যবহার বিধি বা সেবন বিধির উপর। তাই এই ওষুধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে এই ওষুধ সেবনের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে। 

এন্টিবায়োটিক এর উপকারিতা ও কাজ কি 

এন্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যাকটেরিয়াজনিত সকল রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। যেমন:

  • এলার্জি
  • ব্রণ
  • ঠান্ডা, জ্বর ও কাশি
  • নিউমোনিয়া
  • দাঁতের সংক্রমণ
  • মেনিনজাইটিস
  • কানে সংক্রমণ
  • সাইনাস সংক্রমণ
  • কিডনি বা অন্ত্রের সংক্রমণ
  • ত্বকের যে কোন ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণ

এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার কোর্স সম্পূর্ণ শেষ করতে হবে। মাঝপথে এসে এই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা যাবে না। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোর্স সম্পূর্ণ করতে হবে। ভুলেও ইউটিউব কিংবা গুগল সার্চ করে এই ধরনের ওষুধ সেবন করা যাবে না। 

আপনি যেকোনো রোগের জন্য এই ধরনের ঔষধ খেতে চাইলে অবশ্যই সেটির নির্দেশিকা ভালোভাবে পড়ে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক সেবন করবেন। 

শিশুদের এন্টিবায়োটিক খাওয়ার নিয়ম

শিশুদের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ প্রতিরোধে কখনো কখনো এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ানো হয়ে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে সব সময় সিরাপ ওষুধ ব্যবহার করা উত্তম। কোনো ধরনের ট্যাবলেট জাতীয় ওষুধ সেবন না করানোই ভালো।

কিছু এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম

  • Amoxicillin
  • Azithromycin
  • Ciprofloxacin
  • Clarithromycin
  • Doxycycl
  • Erythycin
  • Levofloxacin
  • Metronidazole
  • Penicillin VK
  • Trimethoprim-samethoxazole (TMP-SMX)
  • Clindamycin
  • Vancomycin
  • Gentamicin
  • Tetracycline
  • Linezolid
  • Rifampin
  • Moxifloxacin
  • Nitrofurant
  • Ceftriaxone
  • Cefuroxime
  • Cefixime
  • Ceftazidime
  • Meropenem
  • Imipenem-cilastatin
  • Piperacillin-tazobactam 26.ikacin
  • Colistin
  • Domycin
  • Fosfomycin
  • Tigecycline

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবনে মারাত্মক কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। সেগুলো ভালোভাবে জেনে আমাদের এই ওষুধ সতর্কতার সহিত সেবন করতে হবে। নিচে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া উল্লেখ করা হলো:

  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
  • মলের সঙ্গে রক্তপাত হতে পারে।
  • পেশিতে টান বা ব্যথা হতে পারে।
  • ডায়রিয়াল সংক্রমণ হতে পারে।
  • বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • পেটে ব্যথা হতে পারে।

এন্টিবায়োটিক বেশি খেলে কি হয়?

এই ঔষধ বেশি খেলে আপনার শরীরে পরবর্তীতে এই ওষুধ আর কাজ করবে না। অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে আপনার শরীরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া তৈরি হতে পারে।

এন্টিবায়োটিক কতদিন খেতে হয়?

এন্টিবায়োটিক চিকিৎসক যতদিন খেতে বলবে ঠিক ততদিন খেতে হবে। প্রতিটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবনের নির্দিষ্ট একটি ডোজ থাকে। ডোজ সম্পূর্ণ করতে হবে। সাধারণত চিকিৎসকেরা পাঁচ থেকে সাত দিনের এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার ডোজ দিয়ে থাকেন।

এই ঔষধ খেলে কি কি খাওয়া যায় না?

  • টক জাতীয় ফল বা সবজি (লেবু, কমলা, টমেটো)
  • কফি
  • ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ( ভুট্টা,যব, গম)
  • দুগ্ধজাত খাবার 
  • অ্যালকোহল
  • সাপ্লিমেন্ট (আয়রন ও ক্যালসিয়াম)

এন্টিবায়োটিক কত সময় পর পর খেতে হয়?

এন্টিবায়োটিক ওষুধ সাধারণত ৬ থেকে ৮ ঘন্টা পর পর কিংবা প্রতিদিন ৩ থেকে ৪টি এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করতে হবে। এটা চিকিৎসক ঠিক করে দেবে যে আপনার প্রতিদিন কয়টি ওষুধ খেতে হবে এবং কত পাওয়ারের ওষুধ খেতে হবে। কিছু কিছু ওষুধ রয়েছে প্রতিদিন একটি কিংবা দুইদিন পর পর একটি কিংবা একদিন পরপর একটি খেতে হয়।

এই ঔষধ খাওয়ার পর করণীয়

  • বেশি বেশি জল পান করতে হবে।
  • পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে বেশি বেশি।
  • এন্টিবায়োটিক ওষুধের সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করতে হবে।
Next Post Previous Post