জন্ম নিবন্ধন যাচাই yyyy mm dd দিয়ে অনলাইনে


জন্ম নিবন্ধন যাচাই yyyy mm dd করার নিয়ম জেনে নিন

আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন ব্যবহার করে এখন খুব সহজেই জেনে নেয়া সম্ভব জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন তথ্য। এখন আপনি চাইলেই নিবন্ধন যাচাই yyyy mm dd দিয়ে খুব সহজে অনলাইনে যাচাই করতে পারবেন। বাংলাদেশ ডিজিটাল হওয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসে এ কাজটি করা এখন সম্ভব হচ্ছে। আজকে আমরা টিউটোরিয়াল আকারে বিস্তারিতভাবে দেখাবো কিভাবে এ কাজটি আপনি করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন যাচাই yyyy mm dd

প্রতিটা দেশের নাগরিকের প্রথম পরিচয়পত্র হলো জন্ম নিবন্ধন। প্রতিটা দেশ প্রতিটা নাগরিকের জন্ম-মৃত্যুর হিসাব লিপিবদ্ধ করে থাকে নিবন্ধনের মাধ্যমে। একটি দেশের নাগরিক হিসেবে জন্ম নিবন্ধন থাকা এখন বাধ্যতামূলক। 

এই জন্ম নিবন্ধন না থাকলে পরবর্তীতে অনেক কাজ আপনি করতে পারবেন না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি থেকে শুরু করে যে কোন কাজে এই জন্ম নিবন্ধন একটি অপরিহার্য ডকুমেন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আজকে আমরা জানবো, জন্ম নিবন্ধন যাচাই yyyy mm dd দিয়ে কিভাবে করবেন এবং কিভাবে জন্ম নিবন্ধন ডাউনলোড করবেন।

জন্ম নিবন্ধন যাচাই yyyy mm dd দিয়ে করার নিয়ম

জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা সহজ। তাই আজকে জন্ম নিবন্ধন যাচাই yyyy mm dd দিয়ে কিভাবে যাচাই এবং জন্ম নিবন্ধন ডাউনলোড করতে হয় সে সম্পর্কে ধাপে ধাপে বিস্তারিত জানবো।

জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার ধাপসমূহ

১. জন্ম নিবন্ধন যাচাই yyyy mm dd দিয়ে করতে হলে অবশ্যই একটি সরকারি ওয়েবসাইটে আপনাকে ভিজিট করতে হবে। ওয়েব সাইটে ভিজিট করার মাধ্যমে খুব সহজে জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধনটি যাচাই করে নিতে পারবেন।  

ওয়েবসাইট লিংক: জন্ম নিবন্ধন যাচাই yyyy mm dd

২. উপরে উল্লেখিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর একটা ইন্টারফেস দেখতে পাবেন। 

৩. এরপর আপনার অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধনের ১৭ ডিজিট নম্বর ও আপনার জন্ম তারিখ দিয়ে বক্সগুলো পূরণ করতে হবে। "Birth Registration Number:" বক্সে আপনার অনলাইনে নিবন্ধিত ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধনের নম্বরটি বসাতে হবে। 

৪. জন্ম নিবন্ধন এর নম্বরটি বসানোর পর দ্বিতীয় বক্সে Date of Birth (YYYY-MM-dd): এর জায়গায় প্রথমে জন্ম সাল, তারপরে জন্ম মাস এবং সবার শেষের জন্ম তারিখটি সঠিকভাবে বসাতে হবে। 

৫. এবং সবশেষে একটি ক্যাপচা দেখতে পাবেন। যেখানে সংখ্যা দিয়ে যোগ বিয়োগ করতে বলা হতে পারে। সঠিকভাবে যোগ বা বিয়োগ করার পর "The answer is" নামক খালি বক্সে উত্তরটি বসাবেন। 

জন্ম নিবন্ধন যাচাই yyyy mm dd

৬. সব তথ্য সঠিকভাবে দেওয়ার পরে "Search" নামক অপশনে ক্লিক করবেন। একবার সকল তথ্য ভালো করে দেখে নিবেন। তারপর সার্চ নামক অপশনে ক্লিক করে জন্ম নিবন্ধন দেখতে পারবেন। যাদের জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে ইতিমধ্যে নিবন্ধন করা হয়েছে তাদের জন্য এই প্রক্রিয়াটি শুধু। অন্যথায় এটি অন্য কারো জন্য কাজ করবে না।

আপনার জন্ম নিবন্ধনটি অনলাইনে খুঁজে না পেলে কি করবেন?

অনেক মানুষের ক্ষেত্রে এমন হতে পারে যে আপনার জন্ম নিবন্ধনটি অনলাইনে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর প্রধান কারণ হতে পারে আপনার জন্ম নিবন্ধনটি এখনো অনলাইনে নিবন্ধিত হয় নাই বা ডিজিটাল করা হয়নি। 

অনেক সময় সার্ভারের সমস্যার কারণে এরকম হতে পারে যে জন্ম নিবন্ধনটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আপনি যদি অনলাইনে ইতিমধ্যে নিবন্ধন না করে থাকেন তাহলে শিওর থাকেন এটাই হচ্ছে মূল কারণ আপনার জন্ম নিবন্ধনটি খুঁজে না পাওয়ার। 

এখন আপনার মনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসবে যে এমতাবস্থায় আমাদের করণীয় কী? হ্যাঁ, এখন আমি আপনার করণীয় সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি। 

আপনার জন্ম নিবন্ধনটি যদি হাতে লেখা হয় তাহলে সেটা অবশ্যই অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে বা ডিজিটাল করতে হবে। আর এ কাজটি করার দায়িত্ব মূলত বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার দিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভাকে। আপনার ইউনিয়ন পরিষদের বা পৌরসভায় গিয়ে এই কাজটি আপনি করতে পারবেন খুব সহজেই কয়েকদিন সময়ের মধ্যে। 

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন পেতে হলে অবশ্যই আপনার জন্ম নিবন্ধনটি পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। এ কাজটি এখন ঘরে বসে করা যায়। আপনি চাইলে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় থাকে এ কাজটি করে নিতে পারবেন। 

যারা জন্ম তারিখ দিয়ে সরকারি ওয়েবসাইটে আপনার জন্ম নিবন্ধনটি খুজে পেয়েছেন তাদের মনে হয়তো প্রশ্ন জেগেছে কিভাবে এ জন্ম নিবন্ধনটি এখন ডাউনলোড করে নিব। তাই এখন আমরা জানবো, জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড সম্পর্কে।

জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করার উপায় 

জন্ম নিবন্ধন যাচাই yyyy mm dd দিয়ে করা গেলেও আপনি চাইলেই এটি ডাউনলোড করতে পারবেন না। কারণ জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে চেক করার উপায় থাকলেও ডাউনলোড করার কোন অপশন দেওয়া হয়নি। 

এ কাজটি করার জন্য নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় বা পৌরসভা কার্যালয়ে আপনাকে যেতে হবে। এ কাজটি তারাই মূলত করতে পারে। এলাকাভিত্তিক প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে আলাদা আলাদা প্যানেল থাকে যেখান থেকে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করা ও ডাউনলোড করা যায়।

তবে আপনি চাইলে উক্ত ওয়েবসাইটের পেজটি কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ডাউনলোড করতে পারেন। ডাউনলোড করে চাইলে সেটা প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। এটা শুধু ডকুমেন্ট হিসেবে কাজ করবে। 

যেখানে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি প্রয়োজন পড়বে সেখানে ফটোকপির বিকল্প হিসেবে এটি ব্যবহার করতে পারবেন। তাছাড়া ডাউনলোডকৃত এই পিডিএফটা আর কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না। 

এখন আমরা জানবো এই জন্ম নিবন্ধনটা আসলে কেন করা প্রয়োজন সে সম্পর্কে একদম বিস্তারিত।

কেন জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক?

জন্ম নিবন্ধন নাগরিকের প্রথম পরিচয় পত্র হওয়ায় এটি ছাড়া আসলে কোন কাজই করা সম্ভব না।

জন্ম নিবন্ধন যেসব কাজে বাধ্যতামূলকভাবে লাগে তা নিচে তালিকা করে দেওয়া হলো:

  • যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে।
  • পাসপোর্ট তৈরি করতে।
  • বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করতে।
  • সরকারি ও বেসরকারি যেকোনো চাকরিতে যোগদান করতে।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করার সময়।
  • যেকোনো ব্যাংক একাউন্ট খুলতে প্রয়োজন।
  • বিশেষ কোনো ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে।
  • জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করতে।
  • জমি রেজিস্ট্রেশন করতে লাগে।
  • Tax Identification Number(TIN) সংগ্রহ করার সময়।
Next Post Previous Post