অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশ [সেরা ১০টি সহজ উপায়]

অনলাইনে অর্থ উপার্জন করার বিষয়টি তরুণ সমাজের মাঝে এখন অনেক বেশি আলোচিত। তরুণ তরুণীরা এখন অনলাইন থেকে আনলিমিটেড উপার্জন করতে অনেক বেশি আগ্রহী। অনলাইন থেকে ইনকাম করা কঠিন বিষয় নয় যদি আপনার ভালো দক্ষতা থাকে। বাংলাদেশ ডিজিটাল হওয়ায় এখন আপনি ঘরে বসে চাইলে অনলাইন থেকে আনলিমিটেড অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 
অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার ১০টি সহজ উপায় বাংলাদেশ
অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলো করে আপনি স্বাধীনভাবে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। বাংলাদেশের হাজার হাজার তরুণ তরুণীরা এখন অনলাইনে কাজ করে কোটি কোটি টাকা ডলার হিসেবে বাংলাদেশে রেমিটেন্স আনছে। 

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই রেমিটেন্স গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তাই আজকে আমরা জানবো অনলাইন থেকে আনলিমিটেড উপার্জন করার সহজ ১০ টি উপায় সম্পর্কে যেগুলো জানলে বাংলাদেশ থেকে ঘরে বেশি খুব সহজে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশ

১. ফ্রিল্যান্সিং করে আয় 

ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশের তরুণ তরুণীর কাছে বর্তমানে জনপ্রিয় একটি স্বাধীন পেশা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। কম্পিউটার বা স্মার্টফোন দিয়ে ঘরে বসে ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। এজন্য আপনার থাকতে হবে ভালো দক্ষতা ও পরিশ্রম করার মানসিকতা। 

এখন অনেকগুলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি অ্যাকাউন্ট করে খুব সহজে পৃথিবীর যেকোনো মানুষের কাছ থেকে গিগ তৈরি করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং জব করতে পারবেন। ফাইবার ও আপওয়ার্কের মতো অনেক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে। 

ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতাসমূহ

  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ওয়েব ডিজাইন
  • অ্যাপ মার্কেটিং
  • অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
  • অ্যাপ মেকিং
  • প্রোগ্রামিং দক্ষতা
  • আর্টিকেল লিখে আয়
  • এসইও করে আয়
  • লগো ডিজাইন করে আয়
  • ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আয়
  • ফেসবুক মার্কেটিং শিখে আয়
  • ওয়েবসাইট বিক্রি করে আয়
  • ভিডিও এডিট করে আয়

এছাড়া আরো অনেক স্ক্রিল বা দক্ষতা রয়েছে যেগুলো ভালোভাবে জেনে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আপনি যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে গুগল ও ইউটিউব সার্চ করে ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করতে হবে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে। 

আপনি গুগল বা ইউটিউব এ সার্চ করে জানবেন পারবেন কিভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায় বা সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার গাইডলাইন, কোন কোন ভুল করা যাবে না ইত্যাদি সম্পর্কিত আরো অনেক কিছু আগে ভালোভাবে জেনে নেবেন। 

তারপর চাইলে বিশ্বস্ত কোন অনলাইন আইটি প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে পারেন যে কোন একটি দক্ষতার উপর। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অনেক বেশি সাবধানী হতে হবে। কারণ বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে কোর্স করা নিয়ে অনেক বেশি প্রতারণার শিকার হচ্ছে তরুণ তরুণীরা।

২. ব্লগিং করে আয়

অনলাইন থেকে আনলিমিটেড উপার্জন করার আরেকটি কার্যকরী সেরা মাধ্যম হলো ব্লগিং। ব্লগিং বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় একটি পেশা হিসেবে দাঁড়িয়েছে যুবক ও যুবতীদের কাছে। আপনি চাইলে ঘরে বসে একটি ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন ব্যবহার করে ব্লগিং পেশায় নিয়োজিত হতে পারবেন।

ব্লগিং শুরু করতে হলে যা যা প্রয়োজন-

  • বিশ্বস্ত কোম্পানি থেকে ডোমেইন ও হোস্টিং ক্রয় করা।
  • ডোমেইন এবং হোস্টিং কানেক্ট করা।
  • আপনি চাইলে হোস্টিং ছাড়া ব্লগিং শুরু করতে পারেন। এজন্য আপনাকে গুগলের প্ল্যাটফর্ম ব্লগার ডট কম ব্যবহার করতে হবে। 
  • ওয়েবসাইটের টেমপ্লেট বা থিম। এটি চাইলে ক্রয় করা যায় ও ফ্রি সংগ্রহ করা যায়।
  • হালকা কাস্টমাইজ করার প্রয়োজন হবে। এজন্য ইউটিউবের সাহায্য নিতে পারেন।
  • ইংরেজি বা বাংলা কনটেন্ট লেখা জানতে হবে। অবশ্যই আর্টিকেল ইউনিক, এসইও ফ্রেন্ডলি ও হাই কোয়ালিটি সম্পূর্ণ হতে হবে।
  • আপনাকে এসইও সম্পর্কে জানতে হবে।

আপনার যদি ব্লগিং করার ইচ্ছা থাকে তাহলে গুগল ও ইউটিউব ভালোভাবে ঘাঁটাঘাঁটি করলে সকল কিছু ফ্রিতে শিখতে পারবেন। ব্লগিং করে আবার অনেক উপায়ে ইনকাম। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করা, গুগল এডসেন্স এর মত বিকল্প আরো অন্যান্য এড নেটওয়ার্ক থেকে একই সাথে ইনকাম করা যাবে, ব্যাকলিংক বিক্রি করে আয়, স্পন্সরড পোস্ট থেকে আয় ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় প্রভৃতি।

৩. ইউটিউবে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে আয়

ইউটিউব এখন তরুণ তরুণীদের কাছে ভিডিও দেখার একটি সেরা প্ল্যাটফর্ম। যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করে তাদের ৯৯% ব্যবহারকারী ইউটিউব ব্যবহার করে থাকে। এই ইউটিউব থেকে চাইলে আপনি আনলিমিটেড অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ঘরে বসেই বাংলাদেশ থেকে। ইউটিউবিং ও ব্লগিং এর মধ্যে মূল পার্থক্য একটি হলো টেক্সট কনটেন্ট আরেকটি হলো ভিডিও কনটেন্ট। এখনকার তরুণ তরুণীরা, ইউটিউব থেকে ইনকাম করার প্রতি অনেক আগ্রহী এবং তারা সেদিকেই ঝুঁকছে। ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য তেমন কোন ধরনের উপকরণের প্রয়োজন নেই। 

আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে ইউটিউব থেকে উপার্জন করতে পারবেন। এজন্য আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলার প্রয়োজন পড়বে। যেটি খুলতে শুধু জিমেইল একাউন্ট হলেই হবে। এরপর কিছু লোগো ও কভার ফটো ডিজাইন করে সুন্দর একটি চ্যানেল তৈরি করে নিবেন। এরপর কাজ হবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে নিয়মিত ভিডিও কনটেন্ট পাবলিশ করা।

 ইউটিউবের শর্তসমূহ পূরণ করতে পারলে আপনি ভিডিও মনিটাইজ করে আয় করতে পারবেন। ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ও ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম হলে বর্তমানে ইউটিউব মনিটাইজ দিয়ে থাকে। এছাড়া ইউটিউব থেকে ইনকাম করার আরো উপায় রয়েছে।

 উদাহরণস্বরূপ: গুগল এডসেন্স থেকে আয়, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়, প্রোডাক্ট প্রমোট করে আয়, নিজস্ব প্রোডাক্ট সেল করে আয় এবং নিজের ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করে নিতে পারবেন।

৪. ফেসবুকে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে আয়

ইউটিউব এর চেয়ে বেশি জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট হলো ফেসবুক। বাংলাদেশের সকল শ্রেণীর মানুষ যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে তারা অবশ্যই ফেসবুক ব্যবহার করে। এই ফেসবুক থেকে আপনি নানা উপায় অবলম্বন করে খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে মনিটাইজ করে ইউটিউবের মতো ঘরে বসে আনলিমিটেড ডলার ইনকাম করতে পারবেন। 

এছাড়া ইউটিউব এর মত নিজস্ব প্রোডাক্ট সেল দিয়ে বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফেসবুক থেকে আনলিমিটেড আয় করা যায়। ফেসবুক ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করার জন্য আপনার একটি প্রফেশনাল মানের ফেসবুক পেজের প্রয়োজন পড়বে যেটি আপনি একটি ইউটিউবে ভিডিও দেখে খুব সহজে খুলতে পারবেন। 

ফেসবুক প্রফেশনাল পেজ খোলার পর আপনার প্রয়োজন পড়বে সুন্দর একটি লোগো ও কভার ফটো। এগুলো আপনি নিজেই ইউটিউব দেখে খুব সহজে তৈরি করে নিতে পারবেন। এরপরে নিয়মিত আপনাকে হাই কোয়ালিটি ভিডিও কনটেন্ট পাবলিশ করতে হবে এবং শেয়ার করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। 

ফেসবুকের নির্দেশিত শর্ত সমূহ বা রিকোয়ারমেন্ট পূরণ করতে পারলে আপনি এই ফেসবুক থেকেই প্রতি মাসে আনলিমিটেড টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ফেসবুক থেকে আনলিমিটেড ইনকাম করতে চাইলে অবশ্যই গুগল ও ইউটিউব থেকে বিভিন্ন ধরনের টিউটোরিয়াল ভিডিও সব শিখে তারপর শুরু করবেন।

৫. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় 

অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে যেগুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো ইনকাম করা একটি পদ্ধতি যেখানে অন্য কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট নিজের ওয়েবসাইটে বা সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে কিংবা ইউটিউবে প্রমোট করার মাধ্যমে বিক্রি থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন অর্জন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান একটি ওয়েবসাইট লিংক আপনাকে দেবে। সেটি হতে পারে যে কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস। সেটি আপনাকে অনলাইনে মার্কেটিং করে সেল করতে হবে। আপনি চাইলে ফ্রি মার্কেটিং কৌশল অবলম্বন করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আনলিমিটেড টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 

এজন্য অবশ্যই আপনার একটি ভালো মানের ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একটি ভালো প্রোফাইল থাকতে হবে যেখানে প্রচুর পরিমাণে অনুসারী রয়েছে। 

এছাড়া আপনি পেইড মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে এখান থেকে আনলিমিটেড টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

৬. লেখালেখি করে আয় করা 

অনলাইন থেকে ইনকাম করা আরেকটি সহজ উপায় হলো লেখালেখি করে আয় করা। আপনি চাইলে আর্টিকেল লিখে ঘরে বসে আনলিমিটেড টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে বিভিন্ন গ্রুপ থেকে বা ফ্রিল্যান্সার প্ল্যাটফর্ম থেকে ক্লায়েন্টস খুঁজে নিতে হবে যাদের আর্টিকেল বা কনটেন্ট প্রয়োজন। 

আপনি যদি ভালো মানের আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে অনেক চাহিদা থাকবে এবং প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ভালো মানের ইংরেজী আর্টিকেল লেখার দক্ষতা আপনাকে প্রতিমাসের লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করিয়ে দিতে পারবে। 

ভালো মানের ইংরেজি আর্টিকেল লিখতে পারলে যেমন ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন তেমনি লোকাল মার্কেটে আর্টিকেল সেল দিয়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

আর্টিকেল লেখালেখি শেখার জন্য আপনার হালকা এসইও জানতে হবে। এজন্য আপনি গুগল বা ইউটিউব এ বিভিন্ন ধরনের টিউটোরিয়াল দেখতে পারেন।

৭. অনলাইন সার্ভে করে ইনকাম

অনলাইন সার্ভে করে এখন বাংলাদেশের মানুষ প্রচুর পরিমাণ টাকা উপার্জন করছে। বাংলাদেশ থেকে বৈধ ভাবে সার্ভে করা না গেলেও আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিপিএন বা প্রক্সি ব্যবহার করে বা আইপি কিনে খুব সহজে বাংলাদেশ থেকে অনলাইন সার্ভে করে ইনকাম করতে পারেন।

সার্ভে জিনিসটা হলো অনলাইনে মানুষকে প্রশ্ন করা এবং সেই প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করে দেওয়া। এটি করার অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। বিস্তারিত জানতে হলে ইউটিউব ও গুগলে সার্চ করতে পারেন।

৮. অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে আয়

হ্যাঁ, সত্যিই আপনি যদি কোন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন সেই দক্ষতা ভিডিও আকারে প্রকাশ করে কোর্স তৈরি করে অনলাইন থেকে আনলিমিটেড আয় করতে পারবেন। আপনি যদি বাংলা ভাষায় দক্ষ হন তাহলে আপনার কোর্সসমূহ বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু কিছু অঞ্চলের মানুষের জন্য তৈরি করতে পারেন। 

আপনার তৈরিকৃত কোর্সটি যদি ভালো মানের হয়ে থাকে তাহলে অনেক পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন যেটা আপনার কল্পনাও করতে পারবেন না। 

এমন অনেকে আছে যারা ইংরেজি ভাষায় ভালোভাবে কথা বলতে পারে। আপনারা চাইলে কিভাবে ইংরেজি শিখতে হয় বা ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে হয় ও লিখতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত একটি কোর্স তৈরি করতে পারেন। কোর্সটি নিজস্ব ইউটিউব বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রমোট করতে পারেন। 

এছাড়া পেইড বিভিন্ন মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করি আপনার কোর্সটি সেল করতে পারবেন। এছাড়া আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং, লেখালেখি, ডিজিটাল মার্কেটিং, লোগো ডিজাইন বা গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে এগুলো থেকে কোর্স তৈরি করে বা অনলাইনে শিখিয়ে আয় করা সম্ভব।

বাংলাদেশে এমন অনেকে আছে যারা কোর্স বিক্রি করে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে। খালিদ ফারহান নামে একজন কোর্স বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে ফেলেছে। যিনি এসইও সম্পর্কে কোর্স তৈরি করে থাকেন। 

এছাড়া জুবায়ের হোসেন নামে একজন অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কোর্স তৈরি করে হাজার হাজার শিক্ষার্থী থেকে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে নিচ্ছেন। আপনার কোন কাজে ভালো মানের দক্ষ থাকলে তাহলে এখনই আপনি এটি শুরু করতে পারেন।

৯. ভিডিও এডিট করে আয়

ভিডিও এডিট করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। তবে একেবারে অসাধ্য কোনো কিছু নয়। কয়েক মাস ভালো হবে চেষ্টা করলে আপনি ভালো মানের একজন ভিডিও এডিটর হতে পারে। ভিডিও এডিট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার সফটওয়্যার এর প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য আপনার একটি ভালো মানের ডেক্সটপ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকা বাধ্যতামূলক। 

ভিডিও করতে ভালো মানের গ্রাফিক্স থাকতে হবে আপনার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটারে। অর্থাৎ একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হতে হলে হাই কনফিগারেশন এর ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ কম্পিউটার প্রয়োজন পড়বে। তবে আমি সব সময় পরামর্শ দিব একটি ভালো মানের ডেক্সটপ কম্পিউটার কেনার। ডেক্সটপ কম্পিউটার দিয়ে খুব দ্রুত কাজ করতে পারবেন এবং এটি ক্রয় করতে দাম ল্যাপটপের তুলনায় অনেক কম পড়বে এবং পারফরম্যান্স দ্বিগুণ পাবে। 

ভিডিও এডিট করে আপনি যেমন লোকাল মার্কেট থেকে ইনকাম করতে পারবেন তেমনি ফ্রিল্যান্সিং বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট থেকে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ভিডিও এডিট করার পাশাপাশি আপনি ফটো এডিটিং শিখে নেবেন তাহলে দুটি মাধ্যম ব্যবহার করে প্রচুর টাকা স্থানীয় মার্কেট ও অনলাইন মার্কেট থেকে ইনকাম করতে পারবেন। 

আপনি চাইলে আপনার দক্ষতাগুলো ভিডিও আকারে ইউটিউব ও ফেসবুকে পাবলিশ করে ইনকাম করতে পারেন। হাই কোয়ালিটি সম্পন্ন ভিডিও এডিটর হতে পারলে বড় বড় সিনেমার কাজ পেতে পারেন।

১০. সফটওয়্যার বা অ্যাপ তৈরি করে আয়

সফটওয়্যার ডেভোলোপারের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি যদি দরকারি দরকারি অ্যাপ তৈরি করতে পারেন তাহলে সেগুলো মনিটাইজ করে গুগলে এডসেন্সের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়। নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক দরকারী রয়েছে যেগুলো তৈরি করে ঘরে বসে আনলিমিটেড টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 

এছাড়া আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে এই উপায়ে আরো বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ব্লগিং ও ইউটিউবিং মতো গুগলের এডসেন্স থেকে আনলিমিটেড টাকা উপার্জন করা যায়। এজন্য আপনাকে ভালো মানের অ্যাপ তৈরি করা শিখতে হবে। এটা শিখতে হলে অনেকদিন সময় লেগে থাকে সাধারণত। 

অনলাইনে অনেক ভিডিও টিউটোরিয়াল পাবেন যেগুলো দেখে আপনি চাইলে শিখতে পারেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠান ডেভেলপমেন্ট নিয়ে বিভিন্ন কোর্স বিক্রি করে থাকে সেগুলো আপনি চাইলে ক্রয় করে ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারবেন। বর্তমান বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হওয়ায় এই অ্যাপের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

বাংলাদেশে শিক্ষামূলক অনেক অ্যাপ তৈরি করে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আরো বিস্তারিত জানতে গুগল ও ইউটিউব ঘাঁটাঘাঁটি করতে পারেন।

Next Post Previous Post